প্রতিটি গাছ থেকে প্রতিদিন গড়ে ৭ লিটার রস সংগ্রহ করেন গাছিরা। যা উনুনে জ্বাল দিয়ে ১ কেজি গুড় তৈরি হয়। লাভের অংক বাদ দিয়ে বাজারে খাঁটি গুড় বিক্রি করতে হয় কমপক্ষে তিনশ’ রুপিতে। তবে মাত্র ৮০ রুপিতেই রাজ্যের বিখ্যাত মাজদিয়া হাটে গুড় পাওয়া যাচ্ছে।
খাঁটি গুড় তৈরিতে যে অর্থ খরচ হয় তা বিক্রি করে চাষিরা পোষাতে পারছেন না। এতে অনেক চাষি পেশা পরিবর্তন করেছেন। অনেকে বাধ্য হয়ে গুড়ের মধ্যে চিনি মেশাচ্ছেন। তাই ক্রমেই মাজদিয়ার নলেন গুড় ঘ্রাণ ও স্বাদ হারাচ্ছে।
ব্যবসায়ীরা বলেন, ‘এই গুড় মূলত কলকাতায় যায়। আর সেখান থেকেই নানান জায়গায় যায়। নাগপুর-বোম্বেসহ (মুম্বাই) বিভিন্ন জায়গায় যায়। আর সমস্ত মিষ্টির দোকানে সরবরাহ করা হয়। আমরা এখানে ৮০ থেকে ৯০ টাকায় কিনছি (কৃষকের কাছ থেকে)। ১০০ টাকা করেও কিনি, যার যেমন গুড় তার তেমন দাম।'
মাজদিয়ার ঐতিহ্যবাহী নলেন গুড়ের ব্যবসা বাঁচাতে ভেজাল গুড় বিক্রি বন্ধের দাবি রাজ্যবাসীর।