আফ্রিকা
বিদেশে এখন
0

নির্বাচন কেন্দ্রিক সহিংসতায় মোজাম্বিকে ২১ জনের প্রাণহানি

লুটপাট ও ভাঙচুরের শিকার প্রবাসী বাংলাদেশিদের দোকান

গেল অক্টোবরের নির্বাচন কেন্দ্র করে সৃষ্ট সহিংসতায় দক্ষিণ-পূর্ব আফ্রিকার দেশ মোজাম্বিকে প্রাণহানির সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ২১ জনে। এপির তথ্য বলছে, দেশটির শীর্ষ আদালত ক্ষমতাসীন ফ্রেলিমো পার্টিকে বিজয়ী ঘোষণার পর গেল সোমবার থেকে বুধবার পর্যন্ত আড়াইশ'র বেশি সহিংসতার খবর পাওয়া গেছে। লুটপাট ও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের তিন শতাধিক দোকান। দেশটিতে বাংলাদেশ দূতাবাস না থাকায় চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন তারা।

মোজাম্বিকের ৩ কোটি ৪০ লাখ নাগরিকের রাতের ঘুম কেড়েছে ৯ অক্টোবরের সাধারণ নির্বাচন। শুরু থেকেই এই নির্বাচনের স্বচ্ছতা নিয়ে প্রশ্ন তুলছিলেন বিরোধীরা। এরই জেরে গেল ৩ মাসে রাজনৈতিক সহিংসতায় দেড়শতাধিক প্রাণহানির ঘটনা ঘটেছে।

গেল সোমবার দেশটির শীর্ষ আদালত ক্ষমতাসীন পার্টির ড্যানিয়েল চ্যাপোকে প্রেসিডেন্ট ঘোষণার পর রাজপথে নেমে আসে বিরোধী প্রার্থী ভেনানসিও মন্ডলেনের সমর্থকরা। রাতারাতি হাতের বাইরে চলে যায় দেশের আইন শৃঙ্খলা পরিস্থিতি।

হামলা হয় পুলিশ স্টেশন, পেট্রোল পাম্প, ব্যাংকসহ গুরুত্বপূর্ণ স্থাপনায়। রাস্তা আটকাতে টায়ারে আগুন দিতেও দেখা গেছে বিক্ষোভকারীদের।

সোমবার রাত থেকে রাজধানী মাপুটোসহ বোয়ানি, সিমুই, বেইরা, নামপুলাসহ বেশ কিছু শহরে তাণ্ডব চালাচ্ছে আন্দোলনকারীরা। এতে লুটপাট ও ভাঙচুরের শিকার হয়েছে প্রবাসী বাংলাদেশি ব্যবসায়ীদের ৩ শতাধিক দোকানপাট। স্থানীয়রা বলছেন, এই ক্ষতির পরিমাণ কোটির অঙ্ক ছাড়াতে পারে।

মোজাম্বিকে বাংলাদেশ দূতাবাস না থাকায় নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন ভুক্তভোগী প্রবাসীরা। দক্ষিণ আফ্রিকার বাংলাদেশ হাইকমিশন সহযোগিতার আশ্বাস দিলেও নিশ্চিন্ত হতে পারছেন না তারা।

স্থানীয়রা বলছেন, গেল এক দশকে মোজাম্বিকে পাড়ি জমানো প্রবাসী বাংলাদেশির সংখ্যা ১৫ হাজারের কিছু বেশি। অক্টোবরের শুরু থেকে ভয়াবহ এক পরিস্থিতির মধ্য দিয়ে যেতে হচ্ছে তাদের।

প্রবাসীদের অভিযোগ, শারীরিক নির্যাতন বা দোকান, বাড়ি লুটপাটের চেয়েও বড় সমস্যা- তারা বাংলাদেশের অন্তর্বর্তী সরকারের সাথে সরাসরি যোগাযোগ করতে পারছেন না।

এএইচ