শীতকালীন ঝড় ও তীব্র তুষারপাতে ধুঁকছে যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চল। চার বছরের মধ্যে শনিবার সবচেয়ে বেশি ৪ দশমিক ৩ ইঞ্চি বরফে ঢাকা পড়েছে নিউইয়র্ক সিটির সেন্ট্রাল পার্কে। এমনকি নিউইয়র্ক থেকে দক্ষিণ-পূর্বের লং আইল্যান্ড ও কানেকটিকাট পর্যন্ত তুষারপাত হয়েছে ৬ থেকে ১০ ইঞ্চি পর্যন্ত। নিউইয়র্কের পর নিউ জার্সিতে জরুরি সতর্কতা জারি করা হয়েছে।
ভারী তুষারপাতে শুক্রবারের পর শনিবারও হাজার হাজার ফ্লাইট বাতিল ও বিলম্ব হয়েছে। এতে ভোগান্তির শিকার অসংখ্য যাত্রী। ক্রিসমাস ও ছুটির মৌসুম হওয়ায় ঘুরতে বের হওয়া মানুষেরা পড়েছেন সবচেয়ে বিপাকে।
রাস্তাঘাটও তুষারপাতে ঢাকা পড়ে পিচ্ছিল হওয়ায় যানবাহন চলাচল অনেকটাই থমকে গেছে। রেলপথেও স্থবিরতা দৃশ্যমান। সময়মতো ট্রেন না ছাড়ায় স্টেশনে অপেক্ষার পাল্লা ভারী হচ্ছে যাত্রীদের। তবে আবহাওয়াজনিত কারণে যাত্রা শিডিউল বিপর্যয়ে কোনো ক্ষোভ নেই অপেক্ষমাণ যাত্রীদের।
আরও পড়ুন:
যাত্রীদের একজন বলেন, ‘এখন আপনাকে কেবল বিশ্রামের জন্য আরামদায়ক জায়গা খুঁজে বের করতে হবে। তারপর ঘোষণার জন্য অপেক্ষা করতে হবে। ট্রেন ছাড়ার ঘোষণা যে কোনো সময় হতে পারে। ট্রেন ছাড়ার ঠিক আগ মুহূর্তেও হতে পারে।’
অন্য আরেকজন বলেন, ‘সব মিলিয়ে, আমাদের কিছু সময় অপেক্ষা করতে হচ্ছে। আমার মনে হয় উপরের তলায় একটু ভিড়। তাই নিচের তলায় সময় কাটাচ্ছি। আমরা কেবল আমাদের ট্রেনের জন্য অপেক্ষা করছি।’
রেকর্ড তুষারপাতে যুক্তরাষ্ট্রের এক কোটি ৩০ লাখের বেশি মানুষ শীতকালীন আবহাওয়ার সতর্কতার আওতায় রয়েছে বলে জানিয়েছে দেশটির আবহাওয়া বিভাগ। মধ্য মিশিগান থেকে দক্ষিণ-পশ্চিম নিউ ইয়র্ক এবং মধ্য পেনসিলভেনিয়া পর্যন্ত বিস্তৃত অঞ্চলে তুষারপাত সবচেয়ে বড় উদ্বেগের কারণ হতে পারে বলে শঙ্কা করা হচ্ছে।
স্থানীয় সময় রোববার সন্ধ্যায় যুক্তরাষ্ট্রের উত্তর-পূর্বাঞ্চলের মিডওয়েস্ট এবং গ্রেট লেক অঞ্চল ছাড়াও বিভিন্ন জায়গায় আরও তুষারপাতের পাশাপাশি বজ্রঝড় এবং দমকা হাওয়াসহ বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে মার্কিন আবহাওয়া দপ্তর। এতে অনেক জায়গায় বিদ্যুৎ সংযোগ বিচ্ছিন্ন হওয়ারও আশঙ্কা করা হচ্ছে। তুষারঝড়ের আভাস রয়েছে সোমবারও।





