মার্কিন জাতি সারা বিশ্বে অধিক সম্মানিত: ডোনাল্ড ট্রাম্প

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প | ছবি: এখন টিভি
0

দ্বিতীয় মেয়াদে ক্ষমতায় এসেই সীমান্ত নিরাপদ করেছেন, নিয়ন্ত্রণে এনেছেন মুদ্রাস্ফীতি ও দ্রব্যমূল্য, কর্মীদের মজুরি বাড়িয়েছেন বলে দাবি মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের। মার্কিন জাতি আগের চেয়ে শক্তিশালী এবং সারা বিশ্বে অধিক সম্মানিত বলে জাতির উদ্দেশে দেয়া ভাষণে বলেন তিনি। যদিও জনমত জরিপে নাগরিকরা বলছেন ভিন্ন কথা।

যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর ডোনাল্ড ট্রাম্পের জনপ্রিয়তা কমেছে, বিভিন্ন জরিপে এমন তথ্য পাওয়া গেলেও, বুধবার হোয়াইট হাউজে জাতির উদ্দেশ্যে দেওয়া এক ভাষণে তুলে ধরলেন তার সরকারের সাফল্য-গাথা।

২০ মিনিটেরও কম সময়ের এই বক্তব্যে ট্রাম্প বলেন, ‘নির্বাচিত হওয়ার পর তিনি পেয়েছেন একটি মৃতপ্রায় বিশৃঙ্খল আমেরিকা। অথচ বছরান্তে এসে এই দেশ এখন বিশ্বে সবচেয়ে আলোচিত।’

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আজ ১১ মাস পর, আমাদের সীমান্ত নিরাপদ আছে, মুদ্রাস্ফীতি রোধ করা গেছে, কর্মীদের মজুরি বেড়েছে, নিত্য পণ্যের দাম কমেছে। জাতি হিসেবে আমরা এখন শক্তিশালী। আমেরিকা বিশ্বে এখন সম্মানিত এবং আমাদের দেশ আগের চেয়েও এখন শক্তিশালী।’

আরও পড়ুন:

যেহেতু তার জনপ্রিয়তা কমেছে, নিজ দল রিপাবলিকান পার্টি আগামী বছরের মধ্যবর্তী নির্বাচনের আগে কঠিন পরিস্থিতির মুখে পড়তে পারে। তারই প্রস্তুতি স্বরূপ এ ভাষণ দিলেন তিনি।

নিজের কাজের জন্য যথাযথ স্বীকৃতি পান না বলে আক্ষেপ করেন ট্রাম্প। উচ্চ ব্যয় মোকাবেলায় কয়েকটি নতুন নীতিগত উদ্যোগের প্রস্তাবও দেন তিনি। আগামী সপ্তাহে ট্রাম্প প্রশাসন ১৪ লাখ ৫০ হাজার মার্কিন সেনাকে ১ হাজার ৭৭৬ ডলার করে যুদ্ধ ভাতা দেবে বলে ঘোষণা দেন ট্রাম্প । পাশাপাশি তিনি রিপাবলিকানদের অ্যাফোর্ডেবল কেয়ার অ্যাক্ট প্রস্তাবের সমর্থন জানান। যার মাধ্যমে জনগণ নিজেরাই স্বাস্থ্য বিমার খরচ মেটাতে পারেন।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি গর্বের সাথে ঘোষণা করছি যে, ১৪ লাখ ৫০ হাজারেরও বেশি সামরিক বাহিনীর সদস্য ক্রিসমাসের আগে ওয়ারিয়র ডিভিডেন্ড নামে একটি বিশেষ পুরস্কার পাবেন। ১৭৭৬ সালে আমেরিকা প্রতিষ্ঠার সম্মানে, আমরা প্রতিটি সৈনিককে ১ হাজার ৭৭৬ ডলার পাঠাচ্ছি।’

পেট্রোলের দাম কমার বিষয়টিও তুলে ধরে আরও জ্বালানি প্রকল্পের প্রতিশ্রুতি দেন ট্রাম্প। শত প্রশ্নের মাঝেও অর্থনীতিতে ইতোমধ্যেই নিজেকে সফল বলে দাবি করেন।

ইএ