থাইল্যান্ডের সীমান্তবর্তী গ্রাম বান নোং পাইয়ের একটি পেট্রোল স্টেশনের দৃশ্য এটি। আচমকাই হামলার শব্দে প্রাণ ভয়ে ছুটে পালাচ্ছেন ক্রেতারা।
থাই-কম্বোডিয়ার বিরোধপূর্ণ সীমান্তজুড়ে নতুন সংঘাত ছড়িয়ে পড়ার একই পরিস্থিতি দেখা গেছে সীমান্তের অপর প্রান্তে। কম্বোডিয়া সীমান্তবর্তী শহরের সড়কগুলোতে ঘর পালানো মানুষের লম্বা লাইন। কোথাও কোথাও বাঙ্কারে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে কম্বোডিয়ানদের।
আরও পড়ুন:
ঘটনার সূত্রপাত রোববার। কম্বোডিয়ার হামলায় এক সেনা নিহত হওয়ার প্রতিশোধে কম্বোডিয়ার সামরিক স্থাপনা ও অস্ত্রভাণ্ডারে হামলা শুরু করে থাইল্যান্ড। বিপরীতে কম্বোডিয়া দাবি করে, থাই সেনা হত্যার বিষয়টি পুরোপুরি মিথ্যা। কোনো ধরণের উসকানি ছাড়াই যুদ্ধবিরতি ভঙ্গ করে বিমান হামলা শুরু করেছে থাইল্যান্ডের সেনাবাহিনী।
এরপর থেকে থাই-কম্বোডিয়া সীমান্তে থেমে থেমে সংঘর্ষ চলছেই। এতে প্রাণ গেছে কম্বোডিয়ার বেশ কয়েকজন বেসামরিক নাগরিকের। কম্বোডিয়ার পাল্টা হামলায় প্রাণ গেছে একাধিক থাই সেনার।
গত রোববার একদফা হামলার পর থাই প্রধানমন্ত্রী বলেছিলেন, তারা আর সীমান্তে সহিংসতা দেখতে চাননা। থাই সরকারের পক্ষ থেকে আরও অভিযোগ, বেসামরিক স্থাপনায় হামলার সময় চীনা রকেট ব্যবহার করেছে কম্বোডিয়া। যদিও এর কিছু সময় পর থাই পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেছেন, থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্ব সুরক্ষিত করার করার আগ পর্যন্ত সামরিক অভিযান অব্যাহত থাকবে।
বিপরীতে কম্বোডিয়ার প্রভাবশালী নেতা ও সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন বলেছেন, থাইল্যান্ডই কম্বোডিয়াকে পাল্টা হামলা করতে বাধ্য করছে। আর দেশটির প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয়ের দাবি, যারা এই সংঘাত শুরু করেছে তাদেরকেই আগে থামতে হবে।
চলতি বছরের জুলাইয়ে সীমান্তে টানা পাঁচ দিনের যুদ্ধে জড়ায় থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া। পরে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প ও মালয়েশিয়ার প্রধানমন্ত্রী আনোয়ার ইব্রাহিমের মধ্যস্থতায় দুই দেশের মধ্যে যুদ্ধবিরতি চুক্তি হয়। এর ৪ মাস যেতে যেতে না যেতেই আবারও বিরোধে জড়ালো থাইল্যান্ড ও কম্বোডিয়া।





