সাম্প্রতিক সংঘর্ষের জন্য একে অপরকেই দায়ী করছে কম্বোডিয়া ও থাইল্যান্ড। এর আগেও জুলাই মাসে টানা পাঁচ দিন সংঘর্ষে জড়ায় দুই প্রতিবেশী দেশ। পরে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যস্থতায় যুদ্ধবিরতি কার্যকর হলেও বর্তমান সহিংসতা সেই চুক্তিকে ভেঙে দিয়েছে।
কম্বোডিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় জানিয়েছে, গতকাল (সোমবার, ৮ ডিসেম্বর) রাতের হামলায় আরও দুই বেসামরিক নাগরিক নিহত হয়েছেন। এতে দেশটিতে মৃতের সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৬ জনে। এদিকে এক থাই সেনা নিহত হওয়ার খবরও পাওয়া গেছে।
আজ (মঙ্গলবার, ৯ ডিসেম্বর) সকালে দেয়া এক বিবৃতিতে থাই নৌবাহিনী জানায়, তাদের ত্রাত প্রদেশের ভেতরে কম্বোডিয়ার সৈন্যদের উপস্থিতি শনাক্ত করা হয়েছে এবং তাদের সরিয়ে দিতে সামরিক অভিযান শুরু হয়েছে। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত কিছু জানায়নি তারা।
সোমবার রাতে কম্বোডিয়ার প্রধানমন্ত্রী হুন মানেট বলেন, ‘সার্বভৌমত্ব পুনরুদ্ধারের নামে বেসামরিক এলাকায় সামরিক হামলা চালাতে পারে না থাইল্যান্ড।’ এর আগে কম্বোডিয়া জানিয়েছিল, ধারাবাহিক হামলার মুখেও তারা পাল্টা আক্রমণ করবে না।
আরও পড়ুন:
তবে সাবেক প্রধানমন্ত্রী হুন সেন মঙ্গলবার ফেসবুকে লিখেছেন, তাদের বাহিনী ‘গত রাতে ও আজ সকালে’ থাইল্যান্ডের হামলার জবাব দিয়েছে। যুদ্ধবিরতির প্রতি সম্মান দেখিয়ে তারা ২৪ ঘণ্টা নীরব ছিল বলেও দাবি করেন তিনি। তার ভাষায়, ‘শত্রু যেখানে আক্রমণ করবে, সেখানেই লড়াই করতে হবে আমাদের বাহিনীকে।’
থাই নৌবাহিনীর অভিযোগ, কম্বোডিয়ার সেনারা সীমান্ত এলাকায় অবস্থান জোরদার করছে এবং স্নাইপারসহ ভারি অস্ত্রশস্ত্র মোতায়েন করছে। এসবকে তারা থাইল্যান্ডের সার্বভৌমত্বের ওপর ‘গুরুতর হুমকি’ হিসেবে দেখছে।
এর আগে সোমবার দুই পক্ষের মধ্যে যে তীব্র লড়াই হয়েছে, জুলাইয়ের পাঁচ দিনের সংঘর্ষের পর এমন সহিংসতা আর দেখা যায়নি। কয়েক মাস আগের ওই সংঘাতে রকেট ও ভারি গোলাবর্ষণে অন্তত ৪৮ জন মারা যায় এবং প্রায় তিন লাখ মানুষকে ঘরছাড়া হতে হয়েছিল।





