আর্টিফিশিয়াল ইন্টিলিজেন্স বা এআই’র ব্যবহার বাড়ছে চারদিকে। যেকোনো কাজ দ্রুত ও সহজ সমাধানে এআই’র সহায়তা নিচ্ছেন অনেকে। অফিসিয়াল অনেক কাজও নির্দ্বিধায় করে ফেলা যাচ্ছে এ প্রযুক্তির সাহায্যে। তথ্য-প্রযুক্তির এই যুগে এআই’র হরহামেশা ব্যবহার মোটেও অবাক করার কিছু নয়। বরং মানুষের জীবনকে সহজ করতে বিজ্ঞানীদের হাজার বছরের পরিশ্রমের ফল এটি।
তবে এআই’র কারণে অনেক ক্ষেত্রেই কমেছে কর্মীর চাহিদা। এতে চাকরি হারাচ্ছেন বহু কর্মজীবী। সামনে বিষয়টি আরও সংকটময় হবে বলেই শঙ্কা অনেকের। তাই গতানুগতিক চাকরির পরিবর্তে প্রকৌশল, রাজমিস্ত্রি, ইলেকট্রিক বা কাঠমিস্ত্রির মতো কাজে নিজেদের দক্ষ করতে মরিয়া লন্ডনের তরুণরা।
লন্ডনের তরুণদের মধ্যে একজন বলেন, ‘কিছু কাজ রয়েছে যা আপনি এআই’র ওপর নির্ভর করতে পারবেন। অবশ্যই বিষয়টি অনেক উপকারী। যদিও এক্ষেত্রেও পুরো বিষয়টি তদারকির জন্যও মানুষ প্রয়োজন। দিনশেষে মানুষের বিকল্প কিছুই হয় না।’
আরও পড়ুন:
আরেকজন বলেন, ‘চাকরি হারানোর ইস্যুটি তরুণদের মধ্যে অনেক ভয় কাজ করে। কিছু ক্ষেত্রে লোকবল নিয়োগও অনেক কমে গেছে।’
ব্রিটেনে করা গত ১ বছরের জরিপে দেখা যায়, প্রতি ৬ জনের মধ্যে ১ জন কর্মী দ্রুত তাদের কাজ সারতে এআইয়ের সহায়তা নেন। নিঃসন্দেহে একে উপকারী বলছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে রয়েছে ভিন্ন চিত্র। এআই’র কারণে চাকরি হারানোর ভয়ে গত ৩ বছরে ব্রিটেনে ৯ দশমিক ৬ শতাংশ তরুণ ইঞ্জিনিয়ারিং ও নির্মাণ সংক্রান্ত কাজে নিজেদের অন্তর্ভুক্ত করেছে।
লন্ডনের এআই গবেষক বুকে ক্লেইন বলেন, ‘আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে এআই এখন দ্রুত কাজ করতে পারে। এতে করে বেকারত্ব বাড়বে। অনেক তরুণ এ ধরনের চ্যালেঞ্জ মোকাবিলায় নিজেদের প্রস্তুত করছেন।’
প্রযুক্তির অগ্রগতিতে বেকারত্বের হার বাড়ায় অনেকে আবার বেছে নিচ্ছেন উদ্যোক্তা বা ব্যবসার পথ।





