পাকিস্তানের প্রথম বিশ্বকাপ জয়ী দলের অধিনায়ক থেকে দেশটির সাবেক প্রধানমন্ত্রী। বৈচিত্র্যে ভরা ৭২ বছর বয়সী পিটিআই প্রধান ইমরান খানের জীবন। তবে একাধিক মামলায় অভিযুক্ত হয়ে ২০২৩ সালের আগস্ট থেকে কারাগারে বন্দি রয়েছেন তিনি।
নানা ঘটনার স্বাক্ষী ইমরান খান কোনো মামলা বা অভ্যুত্থানে ষড়যন্ত্রের অভিযোগে নয়, বরং এবার নতুন করে খবরের শিরোনামে এসেছেন তার মৃত্যর গুজবে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ইমরান খানের মৃত্যুর গুজব ছড়িয়ে পড়তেই কারাগারের বাইরে ভিড় জমে ভক্ত সমর্থকদের।
এরপর মুখ খোলে কারা কর্তৃপক্ষ। ছড়িয়ে পড়া তথ্যটিকে ভিত্তিহীন আখ্যা দিয়ে রাওয়ালপিন্ডি কারাগার কর্তৃপক্ষ জানায়, জেলের অভ্যন্তরে সুস্থ আছেন ইমরান খান।
আরও পড়ুন:
পৃথক বার্তায় পাকিস্তানের প্রতিরক্ষামন্ত্রী খাওয়াজা আসিফ দাবি করেন, কারাগারে যথেষ্ট আরাম-আয়েশে আছেন ইমরান। এসময় তিনি কারাগারে ইমরান খানের জন্য সরকারের বরাদ্দ করা সুবিধাগুলোর কথা উল্লেখ করেন। উপহাস করে খাওয়াজা আসিফ জানান, ইমরানের শাসনামলে কারাগারে অনেক দুর্বিষহ সময় পার করেছেন বর্তমান শাসকদলের নেতারা।
এদিকে ইমরানের মৃত্যর গুজব নিয়ে ক্ষোভে ফুঁসছেন তার রাজনৈতিক দল পিটিআইয়ের সদস্যরা। তারা অবিলম্বে ইমরান খান ও তার পরিবারের সদস্যদের মধ্যে একটি সাক্ষাতের আয়োজনের দাবি জানিয়েছেন।
এদিকে আজ (বৃহস্পতিবার, ২৭ নভেম্বর) ভোরে এক এক্স (সাবেক টুইটার) বার্তায় দলটি ইমরান খানের মৃত্যর গুজব ছড়ানোর জন্য আফগান ও ভারতের মিডিয়াগুলোকে দায়ী করেছেন। এছাড়া ইমরান খানের স্বাস্থ্য, নিরাপত্তা ও বর্তমান অবস্থা স্পষ্ট করতে পাকিস্তান সরকারের কাছে আনুষ্ঠানিক বিবৃতিও দাবি করে দলটি।
তিন সপ্তাহেরও বেশি সময় যাবৎ কারাগারে থাকা ইমরান খানের সঙ্গে তার তিন বোনকে সাক্ষাৎ করতে না দেয়ায় চলমান উত্তেজনার মধ্যে এ গুজব আগুনে ঘি ঢেলেছে। শুরু থেকেই পিটিআইয়ের অভিযোগ, ইমরানকে বিচ্ছিন্ন করে রেখেছে বর্তমান সরকার।





