রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনের আঘাতে লণ্ডভণ্ড ইউক্রেনের পশ্চিমাঞ্চলের টেরনোপিল শহর। রাতভর সেখানকার বেসামরিক ভবন লক্ষ্য করে রুশ বাহিনী অভিযান চালিয়েছে বলে অভিযোগ কিয়েভের। সেসময় অর্ধশত ক্ষেপণাস্ত্র ও প্রায় ৫০০ ড্রোন দিয়ে হামলা চালায় মস্কো। এতে হতাহত হন অনেক ইউক্রেনীয়।
এছাড়াও যুক্তরাষ্ট্রের দেয়া বেশকিছু ক্ষেপণাস্ত্র ধ্বংসের দাবি রাশিয়ার। গত বুধবার রাশিয়ার পশ্চিমাঞ্চলের কয়েকটি শহরে বেসামরিক নাগরিকদের লক্ষ্য করে ইউক্রেনীয় সেনারা হামলা চালালে সেসময় তাদের প্রতিহত করে রুশ বাহিনী।
ইউক্রেনে রাশিয়ার তীব্র হামলার মধ্যেই যুদ্ধ বন্ধে তৎপর যুক্তরাষ্ট্র। চলতি সপ্তাহে দু’দেশের চলমান যুদ্ধের ইতি টানতে ২৮ টি পয়েন্ট সংবলিত পরিকল্পনা অনুমোদন করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। মার্কিন প্রশাসনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, ইউক্রেনে দীর্ঘমেয়াদী শান্তি ফেরাতেই এ উদ্যোগ।
ট্রাম্পের অনুমোদিত এই যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা মানতে ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কিকে চাপ দেয়া হবে বলেও জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন। তবে এ বিষয়ে বিস্তারিত জানানো হয়নি ওয়াশিংটনের পক্ষ থেকে।
আরও পড়ুন:
যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বিষয়টি খুব একটা স্পষ্ট না করলেও এরইমধ্যে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি পরিকল্পনা নিয়ে শুরু হয়েছে আলোচনা সমালোচনা। ইউক্রেন স্বাধীনতা ও সার্বভৌমত্ব হারাতে যাচ্ছে বলে মত অনেকের। কারণ জেলেনস্কি যদি ট্রাম্পের পরিকল্পনা মেনে নেয় তবে তাকে ইউক্রেনের অনেক অঞ্চল ছেড়ে দিতে হবে। লাগাম টানতে হবে সামরিক সক্ষমতার। রাশিয়াকে ইউক্রেনের রাষ্ট্রভাষা হিসেবে স্বীকৃতি দিতে হবে।
মার্কিন প্রেসিডেন্টের যখন যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে কিয়েভকে চাপ দিচ্ছে তখন তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ানের শরণাপন্ন ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। এ নিয়ে যৌথ সংবাদ সম্মেলন করেন এই দুই নেতা।
রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ শুরুর পর এখনও পর্যন্ত সরাসরি বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়নি দু’দেশের প্রেসিডেন্টের মধ্যে। তবে তুরস্কের মধ্যস্থতায় ইউক্রেনের সঙ্গে বৈঠকে বসতে রাজি নয় বলে জানিয়েছে মস্কো।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘শান্তি ও নিরাপত্তা আলোচনায় কূটনৈতিক তৎপরতা চালিয়ে যাচ্ছি। যুদ্ধ এখানেই বন্ধ হওয়া দরকার। শান্তির কোনো বিকল্প নেই। রাশিয়ার বিষয়টি বুঝতে হবে।’
তুরস্কের প্রেসিডেন্ট রিসেপ তায়েপ এরদোয়ান বলেন, ‘ইউক্রেন যুদ্ধবিরতি আলোচনাকে এগিয়ে নিয়ে যেতে রাশিয়ার সঙ্গে মধ্যস্থতায় আপত্তি নেই। আশা করি রক্তক্ষয়ী এ যুদ্ধ দ্রুতই শেষ হবে।’
এদিকে, যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে আলোচনা করতে মার্কিন সেনা প্রধান ড্যানিয়েল ড্রিসকলের নেতৃত্বে কিয়েভে পৌঁছেছেন পেন্টাগন কর্মকর্তারা। ইউক্রেনীয় প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সঙ্গে বৈঠকে বসার কথা রয়েছে তাদের।





