ইস্ট লন্ডন মসজিদে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞান মেলা, দর্শনার্থীদের ভিড়

বিজ্ঞান বিষয়ক নানা প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা
বিজ্ঞান বিষয়ক নানা প্রদর্শনী ঘুরে দেখছেন দর্শনার্থীরা | ছবি: এখন টিভি
0

যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডন মসজিদের প্রথমবারের মতো হলো বিজ্ঞান মেলা। তরুণদের উদ্ভাবনী চিন্তা ও ধর্মীয় বিশ্বাসকে শক্ত ভিত্তি দিতে এ উদ্যোগ বলে জানিয়েছেন আয়োজকরা। দিনব্যাপী মেলায় ছিল হাজারো দর্শনার্থীদের ভিড়। এ আয়োজনকে নতুন প্রজন্মকে এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা হিসেবে দেখছেন অনেকে।

ইস্ট লন্ডন মসজিদ যেখানে বিজ্ঞান-প্রযুক্তির নানা উদ্ভাবন নিয়ে নিজেদের নেয়া জ্ঞান অন্যদের মাঝেও বিলিয়ে দেয়ার প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়েছে এক ঝাঁক নতুন প্রজন্ম। মসজিদটির শুধু একটি হল রুমেই নয়; মোট তিনটি হল রুমে শনিবার দিনব্যাপী এ আয়োজন রূপ নেয় মিলন মেলায়।

তরুণ প্রজন্মকে বিজ্ঞানমনস্ক এবং ধর্মীয় মূল্যবোধ চর্চায় উদ্বুদ্ধ করতে প্রথমবারের মতো বিজ্ঞান মেলার আয়োজন করেছে যুক্তরাজ্যের ইস্ট লন্ডন মসজিদ কর্তৃপক্ষ। যেখানে শিক্ষার্থী, শিক্ষক ও পেশাজীবীদের বিজ্ঞান বিষয়ক নানা প্রদর্শনী ঘুরে দেখতে আসেন আড়াই হাজারেরও বেশি দর্শনার্থী।

প্রতিযোগিতায় অংশ নেয়া একজন তরুণ বলেন, ‘আমি স্বাস্থ্যসেবা সংক্রান্ত বিষয় নিয়ে গবেষণা করে প্রজেক্ট তৈরি করেছি। যার মাধ্যমে আইসিইউ রোগী কতটা মৃত্যু ঝুঁকিতে তা নির্ণয় করা সম্ভব হবে।’

আরও পড়ুন:

এ আয়োজনের মধ্য দিয়ে ব্রিটিশ বাংলাদেশি শিক্ষার্থীদের এগিয়ে যাওয়ার অনুপ্রেরণা হিসেবে কাজ করবে বলে মনে করছেন বিশিষ্টজনেরা।

লন্ডন বাংলা প্রেস ক্লাব সেক্রেটারি তাইসির মাহমুদ বলেন, ‘আমার মনে হয় এ ধরনের আয়োজনে পরিবার নিয়ে আসা দরকার। তারা বিজ্ঞান সম্পর্কে আরও জানবে।’

বিলেতে বেড়ে উঠা বাংলাদেশসহ অন্যান্য দেশের তরুণরা যেন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে বিজ্ঞান, প্রযুক্তি ও গবেষণার ক্ষেত্রেও অবদান রাখতে পারে, সেই লক্ষ্যে এই আয়োজন বলে জানিয়েছে কর্তৃপক্ষ।

ইস্ট লন্ডন মসজিদের সিইও জুনায়েদ আহমদ বলেন, ‘এ বিজ্ঞান মেলা নতুন প্রজন্মকে অনুপ্রাণিত করবে বলে আমি মনে করছি। এর মাধ্যমে ভবিষ্যতে তারা সমাজে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখতে পারবে।’

মেলায় চিকিৎসা বিজ্ঞানের বিভিন্ন বিষয়ে ছিল হাতে-কলমে শিক্ষামূলক প্রদর্শনী। যেখানে বাস্তব জ্ঞান অর্জনের সুযোগ পেয়েছে অনেক তরুণ। এ উদ্যোগ নতুন প্রজন্মকে জ্ঞান, বিজ্ঞান, নৈতিকতা ও বিশ্বাসে অনুপ্রাণিত করার অনন্য উদাহরণ বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

এফএস