প্রতিবাদের জেরে মালয়েশিয়ায় চাকরিচ্যুত ১৯০ বাংলাদেশির ১০ জন দেশে ফিরলেন

দেশে ফেরত  প্রবাসী বাংলাদেশি
দেশে ফেরত প্রবাসী বাংলাদেশি | ছবি: এখন টিভি
2

মালয়েশিয়ার কুয়ালালামপুরভিত্তিক একটি প্রতিষ্ঠানে চাকরিচ্যুত ১৯০ বাংলাদেশির ১০ জন গতকাল (মঙ্গলবার, ৪ নভেম্বর) রাতে দেশে ফিরেছেন। তাদের অভিযোগ, শোষণ আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাতেই তাদের ভিসা বাতিল ও চাকরিচ্যুত করা হয়। সমাধানে হাইকমিশনসহ অভিবাসন দপ্তরে যোগাযোগ করা হলেও মেলেনি সমাধান।

দুঃস্বপ্নকে সঙ্গী করে মালয়েশিয়া থেকে ফিরে এলেন দশ প্রবাসী বাংলাদেশি। হঠাৎ চাকরিচ্যুত হয়ে দেশে ফিরে জামালপুরের নিরঞ্জন, সুফিয়ান, নুর ইসলামদের চোখেমুখে এখন রাজ্যের দুশ্চিন্তা।

গতকাল মঙ্গলবার রাত পৌনে ২টায় মালয়েশিয়া থেকে শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে পৌঁছান তারা। মালয়েশিয়ায় গ্লাভস উৎপাদনকারী প্রতিষ্ঠান মেডিসেরামে কাজ করতেন তারা। কোম্পানির শোষণ আর অন্যায়ের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ করাই কাল হয় এ শ্রমিকদের।

দেশে ফেরত একজন বাংলাদেশি প্রবাসী বলেন, ‘আমাদের প্রথম মাসে কোনো বেতন দেয়নি। পরের মাসে দুইশো টাকা, এভাবে করতে করতে তারা পাঁচ মাসের বেতন বকেয়া করেছে। আমাদের বাড়িতে অনেক ঋণ ছিলো আমরা হতাশার মধ্যে ছিলাম।’

অন্য আরেকজন বলেন, ‘আমাদের প্রতিনিয়তই টর্চার করত। আমাদের সঙ্গে কোনো ভালো ব্যবহার তারা করত না।’

আরও পড়ুন:

শ্রমিকদের প্রতিবাদ আর আন্দোলনকে কেন্দ্র করে ১৯০ জন বাংলাদেশি কর্মীকে চাকরিচ্যুত করে প্রতিষ্ঠানটি।

দেশে ফেরত প্রবাসীদের অভিযোগ, অন্যায়ভাবে চাকরিচ্যুত করে তাদের দেশে পাঠানো হয়েছে। ভিসাও বাতিল করা হয়েছে অনেকের। কারো কারো ভিসা পুনঃনবায়ন করার প্রক্রিয়াও সম্পন্ন করা হয়নি দিনের পর দিন। এমন বাস্তবতায় অভিবাসন দপ্তরসহ বাংলাদেশি দূতাবাসে সহায়তা চেয়েও পাননি বলে অভিযোগ প্রবাসী কর্মীদের।

প্রবাসী কর্মীদের একজন এ নিয়ে বলেন, ‘আমার রানিং ভিসা ছিলো। সকালে আমার রানিং ভিসা ক্যান্সেল করছে। দুপুরে দেশে পাঠিয়ে দিয়েছে।’

গেল ৩১ অক্টোবর কুয়ালালামপুরভিত্তিক কোম্পানিটি সব বাংলাদেশি কর্মীকে চাকরি-চ্যুতির চিঠি দেয়। এর আগে গেল দুই বছর ধরে বকেয়া বেতন ও নিয়োগ ফি ফেরতের দাবিতে আন্দোলন করছিলেন বাংলাদেশি প্রবাসীরা।

এফএস