মাত্র এক বছর আগেও জোহরান মামদানি ছিলেন রাজনীতির অচেনা মুখ। জনগণের মতামত জানতে হাতে মাইক নিয়ে রাস্তায় ঘুরে বেরিয়েছেন। মাত্র ৩৪ বছর বয়সেই হয়েছেন বিশ্বের অন্যতন আলোচিত নিউ ইয়র্ক শহরের নগরপিতা। প্রথম মুসলিম ও দক্ষিণ এশীয় মেয়র হিসেবে গড়েছেন ইতিহাস।
মামদানির এ জয়ের সুবাস যুক্তরাষ্ট্র পেরিয়ে ছড়িয়েছে তার জন্মস্থান আফ্রিকার দেশ উগান্ডায়। গোটা বিশ্বেই উদাহরণ তৈরি করেছেন নিউ ইয়র্কের নবনির্বাচিত এ মেয়র।
উগান্ডার কাম্পালায় ভারতীয় বংশোদ্ভূত এক পরিবারে জন্ম নেয়া মামদানি ৭ বছর বয়সে পাড়ি জমান যুক্তরাষ্ট্রে। তবে মার্কিন নাগরিকত্ব পান ২০১৮ সালে। উগান্ডা থেকে এখন নিউ ইয়র্কের মেয়র হওয়া পর্যন্ত তার এমন উত্থান ছিল অভূতপূর্ব।
রাজনীতির প্রতি মামদানির ঝোঁক ছিল শুরু থেকেই। মাত্র ১৭ বছর বয়সেই নিউ ইয়র্কের স্টেট অ্যাসেম্বলিতে যোগ দেন। সেখান থেকেই তার রাজনৈতিক পথচলা শুরু। তারুণ্য শক্তিতে ভরপুর মানুষের প্রতি তার আবেগে অন্যরকম। উগান্ডার রাজনৈতিক জগতে বড় উদাহরণ হতে পারেন মামদানি।
আরও পড়ুন:
নিউ ইয়র্কে উগান্ডার এক প্রবাসী বলেন, ‘মামদানির নির্বাচন থেকে উগান্ডা সবচেয়ে বড় যে জিনিসটি নিতে পারে, তা হলো অনুপ্রেরণা। নিজেকে প্রমাণ করতে হলে কোথায় জন্ম নিয়েছেন তা গুরুত্বপূর্ণ নয়।’
জোহরান মামদানির বিজয়ে আনন্দের জোয়ার বইছে তার জন্মভূমি উগান্ডায়। রাতারাতি তরুণ প্রজন্মের কাছে হয়ে উঠেছেন রাজনীতির প্রতীক। আসন্ন উগান্ডা নির্বাচনে মামদানির আদর্শ বড় ভূমিকা রাখবে বলেও আশা বাসিন্দাদের।
উগান্ডার আরেকজন বাসিন্দা বলেন, ‘মামদানি উগান্ডার তরুণদের মনোভাব পরিবর্তন করে দিয়েছেন। তিনি আমাদের কথা বলেছেন। নিউ ইয়র্কের মতো বড় শহরে মামদানির নেতৃত্ব তরুণদের উৎসাহ যোগাবে।’
জোহরান মামদানির উত্থান উগান্ডার তরুণদের মধ্যে উৎসাহ যোগাবে। তাকে দেখে অনুপ্রাণিত হবে উগান্ডার রাজনীতিবিদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষ।




