নজিরবিহীন ঘটনার সাক্ষী হলো বাকিংহাম প্যালেস। প্রথমবারের মতো রাজ পরিবারের কোনো সদস্যের পদবি বাতিলের ঘোষণা নিয়েছেন স্বয়ং রাজা।
যৌন কেলেঙ্কারি নিয়ে সমালোচনার পর এবার সব ধরণের রাজকীয় উপাধি ও সুযোগ-সুবিধা হারাচ্ছেন ব্রিটিশ রাজপুত্র প্রিন্স অ্যান্ড্রু। শুধু তাই নয়, রাজপ্রাসাদ উইন্ডসর ম্যানসনের 'রয়্যাল লজ'ও ছাড়তে হচ্ছে তাকে।
এক বিবৃতিতে বাকিংহাম প্যালেস জানায়, রাজা চার্লসের ভাই এখন থেকে শুধু পরিচিত হবেন 'অ্যান্ড্রু মাউন্টব্যাটেন উইন্ডসর' নামে। প্রয়াত মার্কিন যৌন অপরাধী জেফ্রি এপস্টেইনের সঙ্গে তার সম্পর্ক নিয়ে কয়েক সপ্তাহের তীব্র অভিযোগের পর এই সিদ্ধান্তের কথা জানিয়েছেন ব্রিটিশ রাজা তৃতীয় চার্লস।
এরইমধ্যে উইন্ডসর প্যালেসের রয়্যাল লজ ছাড়তে তাকে আনুষ্ঠানিক নোটিশ পাঠানো হয়েছে। অ্যান্ড্রুকে স্যান্ড্রিংহাম এস্টেটের একটি ব্যক্তিগত আবাসনে পাঠানো হবে। তবে সেই আবাসনের খরচ বহন করবেন রাজা চার্লস।
আরও পড়ুন:
বিবৃতিতে আরও বলা হয়, অ্যান্ড্রু বিরুদ্ধে আনা অভিযোগের ভিত্তিতে তার বিরুদ্ধে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে। এছাড়াও, নির্যাতনের ঘটনায় ভুক্তভোগীদের পাশে থাকার কথাও জানিয়েছে বাকিংহাম প্যালেস। তবে, অ্যান্ড্রুর রাজ পদবি বাতিল হলেও, তার দুই মেয়ে প্রিন্সেস হিসেবেই পরিচিত হবেন।
এপস্টেইনের সঙ্গে সংশ্লিষ্টতার অভিযোগ ওঠার পর থেকেই প্রিন্স অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিতে বাকিংহাম প্যালেসের ওপর চাপ বাড়ছিল। ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে সমালোচনার মুখে চলতি মাসের শুরুর দিকেই অ্যান্ড্রু তার 'ডিউক অব ইয়র্ক' সহ অন্যান্য রাজকীয় উপাধি ত্যাগ করেন।
তবে শুধু যৌন অপরাধীর সাথে সম্পর্ক রাখা নয়, অ্যান্ড্রুর বিরুদ্ধে যৌন নির্যাতনেরও অভিযোগ রয়েছে। কয়েক বছর আগে ভার্জিনিয়া জেফ্রি নামের এক নারী যুক্তরাষ্ট্রের আদালতে অভিযোগ করেন, ২০০১ সালে তিনি প্রিন্স অ্যান্ড্রুর কাছে যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিলেন।
চলতি বছরের শুরুর দিকে আত্মহত্যা করেন জুফ্রে। তার পরিবারের দাবি, যৌন নিপীড়নের বিরুদ্ধে লড়াই করতে গিয়েই মানসিক চাপে আত্মহত্যার সিদ্ধান্ত নেন জুফ্রে।
মৃত্যুর পর জুফ্রের লেখা একটি স্মৃতিকথা প্রকাশ করা হয়েছে। সেখানেও তিনি একাধিকবার অভিযোগ করেন, কিশোরী বয়সে তিনি তিনবার প্রিন্স অ্যান্ড্রুর সঙ্গে যৌন সম্পর্কে লিপ্ত হয়েছিলেন। তবে, এসব অভিযোগ বরাবরই অস্বীকার করে এসেছেন অ্যান্ড্রু।





