বাজপাখি! আরব দেশগুলোর প্রাচীন ঐতিহ্য ও সংস্কৃতির অবিচ্ছেদ্য অংশ। যা জাতীয় প্রতীকও বটে। ফলে বাজপাখি নিয়ে শিকার করতে বেশ ভালোবাসেন মরুর বেদুইন শিকারিরা।
শুধু তাই নয়; সৌদি আরব, সংযুক্ত আরব আমিরাত, কাতারের মতো মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলোতে পর্যটন আকর্ষণেও বড় অবদান আছে বিরল প্রজাতির এই পাখিটির। আরব রাষ্ট্র ভ্রমণে যাবেন, কিন্তু বাজপাখি হাতে মরুভূমির বুকে ছবি তুলবেন না এমন ভ্রমণপিপাসুও খুঁজে পাওয়া যাবে না।
প্রশ্ন হলো- সর্বোচ্চ কত হতে পারে একটি বাজপাখির দাম? সম্প্রতি সৌদি ইন্টারন্যাশনাল ফ্যালকন ফেস্টিভালের নিলামে একটি বাজপাখির বিক্রি হয়েছে সর্বোচ্চ ২ কোটি টাকারও বেশি দামে। কখনো কখনো এর চেয়ে বেশি দামেও বিক্রি হয় বিলুপ্ত প্রায় এই পাখি। আকার, রঙ এবং আকর্ষণের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ হয় মূল্য।
আরও পড়ুন:
মঙ্গোলিয়া ফ্যালকন বিভাগের তত্ত্বাবধায়ক শেদাইদ আল-রশিদী বলেন, ফ্যালকনের দাম সৌন্দর্যের উপর ভিত্তি করে নির্ধারণ করা হয়ে। এ ক্ষেত্রে এর পিঠ, বুক, মাথার রঙের পাশাপাশি আকার এবং ওজনকে প্রাধান্য দেয়া হয়। সবদিক থেকে যখন একটি বাজপাখি ভারসাম্যপূর্ণ ও আকর্ষণীয় হয়, তখনই মূলত উচ্চ মূল্যে ক্রয়-বিক্রয় হয়।
প্রতিবছর বাজপাখি নিলাম ও প্রদর্শনীর সবচেয়ে বড় আয়োজন বসে রিয়াদে। সৌদি ফ্যালকন ক্লাবের এই আয়োজনে ছুটে আসেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের বাজপাখি প্রেমীরা। রূপ নেয়া মিলন মেলায়।
সৌদি আরবের ফ্যালকন ক্লাবের সিইও তালাল আল শাম্মিসি বলেন, আমাদের এখানে আন্তর্জাতিক নিলাম প্ল্যাটফর্মও রয়েছে। যেখানে বিশ্বব্যাপী শীর্ষস্থানীয় বাজপাখি প্রজননকারী খামারগুলো অংশ নেয়। মূল্য নির্ধারণে প্রতিযোগিতা করে। অতীতে সীমিত হলেও, বর্তমানে ব্রিটেন, ফ্রান্স এবং অন্যান্য দেশের একাধিক প্রজননকারী অংশ নিচ্ছেন। স্বাভাবিকভাবেই, বিরল যেকোনো জিনিসের দাম সবসময়ই বেশি হয়।
ঐতিহ্য ও সংস্কৃতি রক্ষায় বাজপাখি সংরক্ষণ এবং পুনরুজ্জীবিত করতে প্রতিবছর এই অনুষ্ঠান আয়োজন করে থাকে সৌদি ফ্যালকন ক্লাব। ২০১৮ সাল থেকে হয়ে আসছে এ আয়োজন।





