ইতিহাসে প্রথমবার যুব বিশ্বকাপে অংশ নেয়া বাংলাদেশ অনূর্ধ্ব-২১ দলের হয়ে আমিরুলের ধারাবাহিকতা যেন শীর্ষে। শুরু থেকেই নিজের দক্ষতায় সবাইকে করেছেন বিস্মিত। গ্রুপ পর্যায়ে, দুর্ধর্ষ অস্ট্রেলিয়ার বিপক্ষে ৫-৩ ব্যবধানে পরাজয় সত্ত্বেও হ্যাটট্রিক দিয়ে শুরু করেছেন।
পরে গ্রুপের আরেক ম্যাচে দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে দল ৩–০ ব্যবধানে পিছিয়ে থাকলেও, আমিরুল তিনটি পেনাল্টি কর্নার থেকে গোল করে ৩–৩ ড্র এনে দিয়েছিলেন, যা ছিল এক স্মরণীয় কামব্যাক।
তবে তার আসল ঝড় শুরু হয় ১৭-২৪তম স্থান নির্ধারণ পর্বে। ওমানের বিপক্ষে বাংলাদেশের ১৩–০ জয়ে, আমিরুল একাই করেন ৫ গোল, যা ছিল তার এ টুর্নামেন্টের তৃতীয় হ্যাটট্রিক।
আরও পড়ুন:
পরবর্তী ম্যাচে, দক্ষিণ কোরিয়ার বিপক্ষে আবারও হ্যাটট্রিক, ফলে পুরো টুর্নামেন্টে তার ব্যক্তিগত গোলসংখ্যা এখন ১৫। হকি বিশ্বকাপে এককভাবে শীর্ষস্থান দখল করেছেন তিনি।
আমিরুল শুধু গোল দিচ্ছেন না পেনাল্টি কর্নার থেকে তার স্টিক ফ্লিক, ডি-বক্সের ভেতর থেকে চমৎকার হিটে গোল, সময়ের চাপ সামলে গোল করার মানসিক দৃঢ়তা, গতি, ড্রিবলিং সবকিছুই জুনিয়র দলকে আন্তর্জাতিক মঞ্চে আত্মবিশ্বাসী করেছে।
হকির র্যাংকিংয়ে বেশ খানিকটা পিছিয়ে বাংলাদেশ। তবে আমিরুলের ধারাবাহিক পারফরম্যান্স এবং লড়াকু মনোবল বাংলাদেশ হকির জন্য আগামী দিনের ফরোয়ার্ড লাইনে বড় আশার আলো—এমনটাই বলছেন জাতীয় দলের খেলোয়াড়রা।





