দুই দিন সংঘাত বন্ধ থাকার পর আবারও অশান্ত হয়ে উঠেছে পাকিস্তান-আফগানিস্তান সীমান্ত। গতকাল শুক্রবার মধ্যরাতে আফগানিস্তানের পাকটিকা প্রদেশে পাকিস্তান হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ তালেবান শাসক গোষ্ঠীর। আলজাজিরার খবর বলছে, ৪৮ ঘণ্টার সাময়িক যুদ্ধবিরতির পর আফগানিস্তানের অভ্যন্তরে বিমান হামলা চালিয়েছে পাকিস্তান সেনারা। এতে নিহত হয়েছেন বেশ কয়েকজন। নিহতদের মধ্যে আফগানিস্তানের তিনজন স্থানীয় ক্রিকেটারও রয়েছেন।
পাকিস্তানের এ হামলার যথাযথ জবাব দেয়ার হুঁশিয়ারি দিয়েছেন তালেবান সরকার। সংবাদমাধ্যম এএফপিকে এ তথ্য জানান তালেবানের জেষ্ঠ্য এক নেতা।
পাক-আফগান সংঘাতের জেরে দুশ্চিন্তায় দিন কাটছে দুই দেশের বেসামরিক নাগরিকদের। তাই শান্তি ফেরাতে সৃষ্টিকর্তার কাছে প্রার্থনা তাদের।
আফগানিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের একজন বলেন, ‘সাম্প্রতিক হামলা-পাল্টা হামলায় সীমান্ত পাড়ের মানুষের মধ্যে প্রচণ্ড ভয় কাজ করছে। দিন দিন পরিস্থিতি আরও খারাপ হচ্ছে। দুশ্চিন্তা আরও বাড়ছে’।
আরও পড়ুন:
অন্য আরেক ব্যক্তি বলেন, ‘অস্থির পরিস্থিতির জন্য ব্যবসা-বাণিজ্য খারাপ হচ্ছে। মানসিক অশান্তি বাড়ছে। সার্বভৌমত্ব আমাদের কাছে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ। এর সঙ্গে কোনো আপোষ নয়’।
সংঘাতের মধ্যেই যুদ্ধবিরতি ইস্যুতে কাতারের দোহায় আজ আলোচনায় বসতে যাচ্ছে পাকিস্তান ও আফগানিস্তান। এরইমধ্যে পাকিস্তানের প্রতিনিধি দল সেখানে পৌঁছেছেন। দু’পক্ষের আলোচনায় শিগগিরই এ সংঘাতের ইতি টানতে চান বলে জানিয়েছেন পাকিস্তানের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের মুখপাত্র।
পাকিস্তান পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়র মুখপাত্র শাফকাত আলি খান বলেন, ‘পাকিস্তান আত্মরক্ষা করে যাচ্ছে। তালেবানের হামলায় পাকিস্তানের অনেক ক্ষতি হয়েছে। আফগানিস্তানের বেসামরিক নাগরিকদের ওপর আমরা কোনো হামলা করিনি। সন্ত্রাসী গোষ্ঠীই মূলত লক্ষ্য ছিলো’।
গত ৯ অক্টোবর আফগানিস্তানের রাজধানী কাবুলে হামলা চালিয়ে টিটিপির শীর্ষ নেতা নূর ওয়ালি মেহসুদকে হত্যা করে পাকিস্তান বিমান বাহিনী। হামলার দু’দিন পর ১১ অক্টোবর আফগানিস্তানের সঙ্গে লাগোয়া খাইবার পাখতুনখোয়ার সীমান্তবর্তী এলাকাগুলোতে তীব্র সংঘাত শুরু হয় পাক-আফগান সেনাবাহিনীর মধ্যে। চার দিন সংঘাতের পর ১৫ অক্টোবর ৪৮ ঘণ্টার যুদ্ধবিরতি হয় পাকিস্তান ও আফগানিস্তানের মধ্যে। যুদ্ধবিরতির মেয়াদ শেষ হয়েছে শুক্রবার স্থানীয় সময় দুপুর ১ টায়।





