মার্কিন প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব নেয়ার পর রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধে ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কির সাথে তৃতীয়বারের মতো বৈঠক করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
সবশেষ গতকাল (শুক্রবার, ১৭ অক্টোবর) হোয়াইট হাউজে আলোচনায় বসেন ট্রাম্প-জেলেনস্কি। বৈঠকে রাশিয়ার বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যেতে যুক্তরাষ্ট্রের শক্তিশালী ক্ষেপণাস্ত্র টমাহক সহায়তার আবেদন জানায় জেলেনস্কি।
কিন্তু ইউক্রেনকে টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সহায়তা দিতে রাজি হয়নি ট্রাম্প। বরং ক্ষেপণাস্ত্র ব্যবহার না করেই সংঘাত বন্ধ করা সম্ভব বলে আশা প্রকাশ করেন তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমি চাই তাদের টমাহকের প্রয়োজন না হোক। আমি চাই যুদ্ধ শেষ হোক। আমরা প্রতি সপ্তাহে হাজার হাজার মানুষ হারাচ্ছি। আমরা এটির শেষ দেখতে চাই, এবং আমরা দ্রুত শেষ করতে পারি, এবং আমি মনে করি আমরা পারব।’
জেলেনস্কির সাথে বৈঠকের আগে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিনের সাথে ফোনে কথা বলেন ট্রাম্প। পুতিন যুদ্ধ বন্ধে আগ্রহী উল্লেখ করে, মধ্যস্থতাকারী হিসেবে রাশিয়া-ইউক্রেন দুই দেশকেই আলোচনার মাধ্যমে স্থায়ী সমাধানের উপায় খোঁজার আহ্বান জানান ট্রাম্প।
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘রাষ্ট্রপতি পুতিনের সাথে আমার খুব ফলপ্রসূ কথা হয়েছিল। দেখা যাক কী হয়। কিন্তু, মধ্যপ্রাচ্যের যুদ্ধ অনেক জটিল ছিল, আমরা এটি সম্পন্ন করেছি। এবং আমার মনে হয় আমাদের একটি ভালো সুযোগ আছে, আমি মনে করি রাষ্ট্রপতি জেলেনস্কি যুদ্ধ বন্ধ করতে চান, এবং রাষ্ট্রপতি পুতিনও এ বিষয়ে আগ্রহী এখন তাদের শুধু একটু বোঝাপড়া করতে হবে।’
টমাহক ক্ষেপণাস্ত্র সহায়তা না পেলেও, ট্রাম্পের সাথে ফলপ্রসূ বৈঠক হয়েছে বলে জানিয়েছেন জেলেনস্কি। বৈঠকের পর হোয়াইট হাউজের বাইরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে জেলেনস্কি বলেন, ট্রাম্পের সাথে নিরাপত্তা নিশ্চিত করার বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। তবে টমাহক অস্ত্রের বিষয়ে কোনো মন্তব্য করেননি তিনি।
ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি বলেন, ‘প্রেসিডেন্ট ট্রাম্পের সাথে একটি ফলপ্রসূ সাক্ষাৎ হয়েছে। আমরা বিশ্বাস করি, তিনি যুদ্ধ থামাতে চান। আমরা বিমান প্রতিরক্ষা ও দুরপাল্লার অস্ত্রের বিষয়টি নিয়েও কথা বলেছি। আমি এ নিয়ে কোনও বিবৃতি দিতে চাই না। আমরা সিদ্ধান্ত নিয়েছি যে আমরা এ নিয়ে কথা বলব না। মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র উত্তেজনা বৃদ্ধি চায় না।’
এদিকে ট্রাম্পের সাথে বৈঠকের পর জেলেনস্কির সাথে ফোনে কথা বলেছেন ইউরোপীয় ইউনিয়নের নেতারা। এসময় ইউক্রেনের প্রতি আবারও শক্তিশালী সমর্থন জানিয়েছেন তারা। ফোনালাপে যুক্ত ছিলেন ন্যাটোর মহাসচিব মার্ক রুটো। এছাড়া যুক্তরাজ্যের ডাউনিং স্ট্রিটের এক মুখপাত্র জানিয়েছেন, যুদ্ধবিরতির আগ পরে কিভাবে ইউক্রেনকে সমর্থন দেয়া যায় সে বিষয়ে আলোচনা অব্যাহত থাকবে।





