শান্তির শহর শার্ম এল শেখে শুরু হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ

শার্ম এল শেখ শহর
শার্ম এল শেখ শহর | ছবি: সংগৃহীত
0

শুধু পর্যটন নয়, দশকের পর দশক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে মিশরের শার্ম এল শেখ শহরে। এ কারণে বিশ্বের বিবাদমান ইস্যুগুলোর সমাধানের লক্ষ্যে বিশ্বনেতারা তাকিয়ে থাকে শহরটির দিকে। সবশেষ হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার গাজা যুদ্ধবিরতি প্রথম ধাপ কার্যকর হয়েছে লোহিত সাগর তীরবর্তী শহরটিতে।

ইতিহাসের পাতায় লেখা থাকবে মিশরের সিনাই উপদ্বীপের দক্ষিণাঞ্চলীয় শহর শার্ম এল শেখের নাম। আন্তর্জাতিক মহল ও মানবাধিকার সংগঠনগুলোর শান্তির বার্তা উপেক্ষা করে টানা দুই বছর গাজা উপতক্যায় হত্যাযজ্ঞ চালানোর পর, গেল সপ্তাহে শহরটিতে ট্রাম্পের যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব অনুযায়ী হামাসের সঙ্গে আলোচনায় বসে ইসরাইল। কয়েকদিনের আলোচনা শেষে যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ কার্যকরে সম্মত হয় দুই পক্ষ।

কেবল গাজা সংঘাত নয়, কয়েক দশক ধরে আরব বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ সামিট, অর্থনৈতিক ফোরাম ও জলবায়ু সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে শহরটিতে। একারণে, এটি শান্তির শহর হিসেবেও পরিচিত।

আরও পড়ুন:

বিশ্বনেতারা টেকসই শান্তির প্রত্যাশায় তাকিয়ে থাকে শহরটির দিকে। ১৯৯৯ সালে গাজায় ফিলিস্তিনিদের স্বায়ত্তশাসন প্রতিষ্ঠার চুক্তি হয় এখানে। এছাড়াও, দ্বিতীয় ফিলিস্তিন ইন্তিফাদার পর, এটি বন্ধে ২০০০ সালের ১৭ সেপ্টেম্বর শার্ম এল শেখে একটি শান্তি সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়। কিন্তু সহিংসতার কারণে তা ভেস্তে যায়। এছাড়া, ২০০৫ এর আগস্টে আরব বিশ্বের বিভিন্ন ইস্যু বিশেষ করে আরব-ইসরাইল সংকট নিয়ে অনুষ্ঠিত সম্মেলনের আয়োজকও ছিল শহরটি। ২০০৭ সালে তৎকালীন জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি মুনসহ বিশ্বের প্রায় ৫০ টি দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীরা ইরাকের পুনর্গঠন নিয়ে একটি সম্মেলনেও এখানে অংশ নেয়।

বেশ কয়েকটি অর্থনৈতিক ফোরামের সাক্ষীও লোহিত সাগরের তীরবর্তী এই শহরটি। ২০০৭ ও ২০০৮ সালে মধ্যপ্রাচ্যের অর্থনৈতিক ফোরাম শার্ম এল শেখে অনুষ্ঠিত হয়। ২০১১ সালে মিশরে বিক্ষোভের সময় তৎকালীন প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক শহরটিতে যান এবং সেখান থেকেই পদত্যাগের ঘোষণা দেন।

এছাড়া, ২০২২ সালের নভেম্বরে জাতিসংঘের জলবায়ু পরিবর্তন বিষয়ক সম্মেলন কোপ- টুয়েন্টি সেভেনের আয়োজক ছিল এই শহর।

পর্যটনের কারণে বিশেষ সুখ্যাতি রয়েছে শহরটির। পাহাড়, স্বচ্ছ জলরাশি, বিরল জলজ উদ্ভিদ ও মাছের কারণে সারা বছর ধরেই বিশ্বের নানা প্রান্তের মানুষ পাড়ি জমান শহরটিতে। স্কুবা ডাইভিংয়ের জন্য বিশেষ খ্যাতি রয়েছে শহরটির।

ইএ