দুই বছর পেরিয়ে তিন বছরে পা রাখল গাজা সংঘাত । এরই মধ্যে ইসরাইলি হামলায় ধ্বংসস্তূপে পরিণত গাজা নগরী । প্রাণ ঝরেছে ৬৭ হাজারেরও বেশি ফিলিস্তিনির। এ অবস্থায় যখন জোরালো হচ্ছে গাজা গণহত্যা বন্ধের আহ্বান, ঠিক তখনই যুদ্ধবিরতি নিয়ে আবারো আলোচনার টেবিলে হামাস ও ইসরাইল।
মিশরের শার্ম এল শেখ শহরে দ্বিতীয় দিনের মতো বৈঠক করে দুই পক্ষ। মিশরের রাষ্ট্রীয় সংবাদমাধ্যমে এক সাক্ষাতকারে হামাসের প্রতিনিধিত্বকারী খলিল আল হায়া যুদ্ধ বন্ধে তাদের দাবিগুলো তুলে ধরেন। জানান, গাজা থেকে সব ইসরাইলি সৈন্য প্রত্যাহার ও উপত্যকাটিতে কোনো বাধা ছাড়া ত্রাণ প্রবেশের দাবি জানিয়েছে গোষ্ঠীটি। এছাড়া, ইসরাইলি কারাগারে বন্দি সব ফিলিস্তিনি বন্দির মুক্তির বিনিময়ে জীবিত ও মৃত ইসরাইলি সৈন্যদের মুক্তি দিতে প্রস্তুত হামাস। ইসরাইল যাতে যুদ্ধবিরতি ভেঙ্গে গাজায় পুনরায় হামলা চালাতে না পারে সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রসহ মধ্যস্থতাকারী পক্ষগুলোর প্রতিশ্রুতিও চায় হামাস।
তবে হামাসের দাবিগুলোর সঙ্গে ট্রাম্পের শান্তি পরিকল্পনার পার্থক্য রয়েছে। কেননা ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ইসরাইলি সেনা প্রত্যাহারের বিষয়টির অস্পষ্টতা রয়েছে। ট্রাম্পের পরিকল্পনায় সৈন্য প্রত্যাহারের কোনো নির্দিষ্ট সময়সীমা নেই। তবে গাজা শান্তি চুক্তির বিষয়ে আবারো আশার কথা শোনালেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
আরও পড়ুন:
তিনি বলেন, ‘আমরা চুক্তি স্বাক্ষরের দ্বারপ্রান্তে রয়েছি। এর মাধ্যমে মধ্যপ্রাচ্যে সংঘাত বন্ধ হবে । এতো বছর ধরে লক্ষ লক্ষ মানুষ নিহতের পর মধ্যপ্রাচ্যে শান্তি স্থাপনের সুযোগ এসেছে।’
অন্যদিকে দুই দিনের আলোচনায় অগ্রগতি এসেছে বলে জানিয়েছে ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়। তবে হামাস যেকোনো সময় আলোচনা ভেস্তে দিতে পারে বলেও শঙ্কা তাদের। বুধবার, নেতানিয়াহুর ঘনিষ্ঠ ইসরাইলি কৌশলগত বিষয়ক মন্ত্রী রন ডার্মার আলোচনায় অংশ নিতে মিশরে যাচ্ছেন।
যুদ্ধবিরতি আলোচনায় অংশ নিতে মিশরে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পের বিশেষ দূত স্টিভ উইটকফসহ মার্কিন প্রতিনিধি দল। বুধবার হামাস ও ইসরাইলি প্রতিনিধি দলের সঙ্গে বৈঠকে বসবেন তারা। এছাড়া, বৈঠকে উপস্থিত থাকবেন কাতারের প্রধানমন্ত্রী শেখ মোহাম্মদ বিন আল থানি ও তুর্কির জাতীয় গোয়েন্দা সংস্থার প্রধান ।





