
বর্তমান যুদ্ধরেখায় শান্তি আলোচনায় রাজি ইউক্রেন, অনড় রাশিয়া
রাশিয়া ইউক্রেন যুদ্ধে বর্তমান যুদ্ধরেখায় শান্তি আলোচনার বিষয়ে একমত হয়েছেন ইউক্রেনের প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি ও ইউরোপীয় নেতারা। যুদ্ধ বন্ধে ডোনাল্ড ট্রাম্পের অবস্থানকেও সমর্থন জানিয়েছে তারা। কিন্তু বর্তমান যুদ্ধরেখায় সংঘাত থামানোর বিষয়ে রাজি নয় রাশিয়া। এদিকে হাঙ্গেরিতে ট্রাম্প-পুতিনের শান্তি আলোচনা বৈঠকের বিষয়ে তাৎক্ষণিক পরিকল্পনা নেই বলে জানিয়েছে হোয়াইট হাউজ। এর আগে বৈঠকের কোনো তারিখ নির্ধারিত হয়নি বলে জানিয়েছিলো ক্রেমলিন।

শান্তির শহর শার্ম এল শেখে শুরু হামাস-ইসরাইল যুদ্ধবিরতির প্রথম ধাপ
শুধু পর্যটন নয়, দশকের পর দশক ধরে বিশ্বের বিভিন্ন গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুর শান্তি আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়েছে মিশরের শার্ম এল শেখ শহরে। এ কারণে বিশ্বের বিবাদমান ইস্যুগুলোর সমাধানের লক্ষ্যে বিশ্বনেতারা তাকিয়ে থাকে শহরটির দিকে। সবশেষ হামাস ও ইসরাইলের মধ্যকার গাজা যুদ্ধবিরতি প্রথম ধাপ কার্যকর হয়েছে লোহিত সাগর তীরবর্তী শহরটিতে।

শান্তি আলোচনায় ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধের প্রতিশ্রুতি নাকি রাশিয়া-যুক্তরাষ্ট্র বাণিজ্যচুক্তি?
ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধ নয় বরং শুক্রবার (১৫ আগস্ট) শান্তি আলোচনার মাধ্যমে রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন ওয়াশিংটনের সঙ্গে বাণিজ্য সম্পর্কের সূচনা করতে চান বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। তারা জোর দিয়ে বলছেন, ট্রাম্পের উদ্দেশ্য ইউক্রেন-রাশিয়া সংঘাত বন্ধ করা হলেও আপাতত যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় সম্পর্ক উন্নয়ন নিয়েই মাথা ঘামাচ্ছেন পুতিন। বিশ্লেষকদের ধারণা, এ বৈঠকের মাধ্যমে যুক্তরাষ্ট্রের নিষেধাজ্ঞা থেকে বের হওয়ার যোগ খুঁজছে মস্কো। তবে জার্মান গণমাধ্যম ডয়েচে ভেলের দাবি, পুতিনের উদ্দেশ্য সম্পর্ক স্পষ্ট ধারণা আছে ট্রাম্পের।

ইস্তাম্বুলে শান্তি আলোচনায় উপস্থিত থাকছেন না পুতিন
তুরস্কের ইস্তাম্বুলে ইউক্রেনের সঙ্গে শান্তি আলোচনায় উপস্থিত থাকছেন না রুশ প্রেসিডেন্ট ভ্লাদিমির পুতিন। ইউক্রেন প্রেসিডেন্ট জেলেনস্কির আহ্বানের পরও ক্রেমলিন প্রতিনিধিদের প্রকাশিত তালিকায় পুতিনের নাম নেই।

শান্তি আলোচনায় আসতে রাশিয়া-ইউক্রেনের সম্মতি
যুদ্ধ বন্ধ করে শান্তি আলোচনায় আসতে সম্মত হয়েছে রাশিয়া ও ইউক্রেন। দুই দেশের প্রেসিডেন্টের সঙ্গে মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের দীর্ঘ ফোনালাপে উঠে আসে যুদ্ধবিরতির বিষয়।

আগ্রাসী গতিতে ইউক্রেন দখল করছে রাশিয়া
২০২৩ সালের শেষ ৬ মাসে ইউক্রেনের দখলে নেয়া অঞ্চলের চেয়েও বেশি অঞ্চল মাত্র ৬ সপ্তাহে দখলে নিয়েছে রাশিয়া। খারকিভে হামলা চালালেও শহরটি দখলের পরিকল্পনা নেই মস্কোর। এদিকে পুতিনের অভিযোগ, শান্তি আলোচনার নামে বিশ্বাসঘাতকতা করেছে ইউক্রেন।