ঐতিহাসিক নিদর্শন, নীল জলের সমুদ্র সৈকত ও পাহাড়ের মতো প্রাকৃতিক সৌন্দর্য-তো বটেই, মালয়েশিয়ার আধুনিক কৃত্রিম স্থাপত্যও হাতছানি দিয়ে ডাকে পর্যটকদের। এরমধ্যে কুয়ালালামপুরের পেট্রোনাস টুইন টাওয়ার অন্যতম। রয়েছে জাতীয় থিয়েটার বা সংস্কৃতির প্রাসাদ হিসেবে খ্যাত ইস্তানা বুদায়া। বহুভাষার এ দেশটির আবহাওয়াতেও আছে বৈচিত্র্য।
কৃত্রিম ও প্রাকৃতিক ঐশ্বর্যের নানা দর্শনীয় স্থান দেখতে যেনো পর্যটকদের জোয়ার বইছে মালয়েশিয়ায়। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের তুলনায় ভ্রমণ খরচ কিছুটা কম হওয়ায় বিদেশি দর্শনার্থীদের পছন্দের গন্তব্য হয়ে উঠেছে দেশটি। সেইসঙ্গে আশপাশের দেশ ঘুরে দেখার সুযোগ থাকায় আরও বেশি আকৃষ্ট করছে ভ্রমণ পিপাসুদের।
মালয়েশিয়ায় পর্যটকরা জানান, মালয়েশিয়াতে অনেক সুন্দর সুন্দর জায়গা আছে। মালয়েশিয়াতে খাওয়া দাওয়া এবং যাতায়াতের খরচও অন্যান্য দেশের থেকে কম।
আরও পড়ুন:
পরিসংখ্যান তথ্য বলছে, চলতি বছরের জানুয়ারি থেকে আগস্ট পর্যন্ত দেশটিতে ২ কোটি ৮২ লাখের বেশি বিদেশি পর্যটক ভ্রমণ করেছেন। যা গত বছরের তুলনায় প্রায় ১৪ দশমিক ৫ শতাংশ বেশি। ২০১৯ সালের তুলনাতেও এবছর পর্যটক সংখ্যা বেড়েছে ১৬ শতাংশের বেশি। কোভিড পরবর্তী সময়ে দেশটির পর্যটন খাত টেকসই গতিতে এগিয়ে যাচ্ছে বলে দাবি আনোয়ার ইব্রাহীম প্রশাসনের।
‘এরইমধ্যে ভিজিট মালয়েশিয়া ২০২৬’-কে সামনে রেখে দেশ-বিদেশে জোর প্রচারণা শুরু করেছে দেশটি। পর্যটন খাত শক্তিশালী করতে যৌথ উদ্যোগে এগুচ্ছে সরকারি ও বেসরকারি কর্তৃপক্ষ। এরমধ্যে রয়েছে বিদেশে সেলস মিশন, পর্যটন সংস্থা ও এয়ারলাইন্সের সঙ্গে বিশেষ চুক্তি। রাখা হয়েছে সাংস্কৃতিক ও ক্রীড়া ইভেন্টে অনুদানের ব্যবস্থাও।
এদিকে, সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম, টেলিভিশন, রেডিও ও বিলবোর্ডের মাধ্যমে লক্ষ্যভিত্তিক প্রচারণা চলছে। যার উদ্দেশ্য, বিশ্বের পর্যটকদের কাছে মালয়েশিয়াকে আরও আকর্ষণীয় গন্তব্য হিসেবে তুলে ধরা। পর্যটন খাতের এ উত্থান মালয়েশিয়ার অর্থনীতিতে নতুন গতি যোগ করবে এমনটাই প্রত্যাশা সংশ্লিষ্টদের।





