কঠোর ভিসা নীতির কারণে চলতি বছর কানাডায় কমেছে বিদেশি শিক্ষার্থীদের আনাগোনো। প্রতিনিয়ত বাড়ছে ভিসা আবেদন প্রত্যাখ্যানের হার।
পরিসংখ্যান বলছে, আবেদনের প্রায় ৭০ শতাংশই বাতিল করছে কানাডা প্রশাসন। বিপরীতে ভিসা দেয়া হচ্ছে মাত্র ৩০ শতাংশ আবেদনকারীকে। এতে প্রাধান্য দেয়া হচ্ছে দক্ষতাকে। আর এদের মধ্যে প্রকৌশলবিদ্যায় পারদর্শীদের অগ্রাধিকার সবচেয়ে বেশি।
প্রকৌশলবিদ্যায় পড়াশোনা ও পারদর্শিতার দিক দিয়ে এগিয়ে থাকায় বিদেশিদের জন্য দেয়া কানাডা সরকারের সুযোগ সবচেয়ে বেশি কাজে লাগাচ্ছে ভারতীয় শিক্ষার্থীরা। যেখানে অনেকটাই পিছিয়ে বাংলাদেশিরা। তাই কানাডায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে প্রকৌশল বিভাগকে প্রাধান্য দেয়ার পরামর্শ অভিজ্ঞদের।
আরও পড়ুন:
শিক্ষাবিদ মুহাম্মাদ মাসুম জুজুলী বলেন, ‘কানাডার ইঞ্জিনিয়ারিং এবং টেকনলোজি প্রোগ্রামের ক্ষেত্রে কিছু স্পেসিফিক গাইডলাইন আছে। এগুলো ফলো করলে, তবেই কেউ ইঞ্জিনিয়ারিং বা টেকনলোজির ডিগ্রি পাবে।’
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কানাডায় প্রকৌশলবিদ্যায় উচ্চশিক্ষার ক্ষেত্রে নির্দিষ্ট কিছু স্বল্পমেয়াদী কোর্স বেশ সহায়ক হতে পারে। এছাড়াও চারবছর মেয়াদি স্নাতক করতেও কানাডায় আসতে পারেন সদ্য এইচএসসি শেষ করা শিক্ষার্থীরা। তবে দরকার ইংরেজিতে দক্ষতা।
মুহাম্মাদ মাসুম জুজুলী বলেন, ‘প্রতি বছর দেখা যায়, বিদেশ থেকে প্রচুর পরিমাণে ইঞ্জিনিয়ারিং টেকনলোজিস্ট তারা হায়ার করে রাখেন। কিন্তু বাংলাদেশ থেকে দেখা যায়, আমরা খুব বেশি এরকম টেকনলোজিস্ট দেখতে পাই না কানাডাতে। তারপর একটি কারণ হতে পারে ল্যাঙ্গুয়েজ ব্যারিয়ার। কারণ এখানে এলিজিবল হতে হলে ইংলিশে ভালো স্কোর থাকতে হয়।’
কানাডা-যুক্তরাষ্ট্রের মতো দেশগুলোতে গুরুত্ব সহকারে মেনে চলা হয় প্রকৌশলবিদ্যার নীতি। তাই অর্থনৈতিক অগ্রযাত্রায় যেমন শক্তিশালী; তেমনি নিরাপত্তা ইস্যুতেও এটি অনেক এগিয়ে।




