গাজায় যুদ্ধবিরতি: ট্রাম্পের পরিকল্পনায় ইসরাইলের অনুমোদন, যুক্তরাষ্ট্র পাঠাচ্ছে ২০০ সেনা

বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু
বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু | ছবি: সংগৃহীত
0

গাজায় যুদ্ধবিরতি চুক্তি নিয়ে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় অনুমোদন দিয়েছে ইসরাইলি মন্ত্রিসভা। মার্কিন প্রতিনিধি ও মধ্যস্থতাকারীদের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের নিশ্চয়তা পেয়েছে বলে জানিয়েছে হামাস। এদিকে পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণে ইসরাইলে ২০০ সেনা পাঠাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র।

গাজায় টানা ২৪ মাসের নজিরবিহীন হামলা ও বর্বরতার পর শান্তিচুক্তির দ্বারপ্রান্তে হামাস-ইসরাইল। গাজায় শান্তি ও জিম্মি মুক্তির পক্ষে আগেই সমর্থন জানান ইসরাইলি প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু।

এবার ট্রাম্পের সেই শান্তি পরিকল্পনায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদন পেলো ইসরাইলের মন্ত্রিসভায়। স্থানীয় সময় বৃহস্পতিবার (৯ অক্টোবর) রাতে ইসরাইলি মন্ত্রীদের সাথে বৈঠকে বসেন নেতানিয়াহু। বৈঠকে যুদ্ধ বন্ধে উদ্যোগ নেয়ায় ট্রাম্পকে ধন্যবাদ জানান তিনি। আর বৈঠকের পর এক বিবৃতিতে ট্রাম্পের পরিকল্পনায় আনুষ্ঠানিক অনুমোদনের বিষয়টি জানায় প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়।

ইসরাইলের প্রধানমন্ত্রী বেনইয়ামিন নেতানিয়াহু বলেন, ‘আমরা গুরুত্বপূর্ণ অগ্রগতির মধ্য দিয়ে যাচ্ছি। গেল দুই বছরের যুদ্ধে আমাদের প্রধান লক্ষ্য জিম্মিদের ফিরিয়ে আনা। আমরা আমাদের লক্ষ্য অর্জন করতে যাচ্ছি। প্রেসিডেন্ট ট্রাম্প এবং তার দলের অসাধারণ সাহায্য ছাড়া এটি সম্ভব হতো না।’

আরও পড়ুন:

ইসরাইল সরকারের এক মুখপাত্র জানিয়েছে মন্ত্রিসভার বৈঠকের ২৪ ঘণ্টার মধ্যে যুদ্ধবিরতি শুরু হবে এবং ৭২ ঘণ্টার মধ্যে বন্দিদের মুক্ত করা হবে।

যুদ্ধবিরতি কার্যকরের বিষয়টি নিয়ে হোয়াইট হাউজে মার্কিন মন্ত্রীদের সাথে বৈঠক করেছেন ডোনাল্ড ট্রাম্পও। বৈঠকে ট্রাম্প বলেন, আগামী সোমবার-মঙ্গলবারের মধ্যে বন্দিদের মুক্তি দেয়া হতে পারে।

এদিকে মার্কিন প্রতিনিধি আরব মধ্যস্থতাকারী ও তুরস্কের কাছ থেকে যুদ্ধবিরতি কার্যকরের নিশ্চয়তা পেয়েছে বলে জানিয়েছে ফিলিস্তিনের স্বাধীনতকামী গোষ্ঠী হামাস। সংগঠনটির মধ্যস্থতাকারী দলের প্রধান জানিয়েছে মার্কিন প্রশাসন স্থায়ীভাবে যুদ্ধ শেষ করার নিশ্চয়তা দিয়েছে।

হামাসের মধ্যস্থতাকারী দলের প্রধান খলিল আল হাইয়া বলেন, ‘আজ আমরা ঘোষণা করছি, আগ্রাসনের অবসান ঘটাতে এবং যুদ্ধবিরতি বাস্তবায়ন করতে আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছেছি। সকল বন্দিদের মুক্তি দেয়ার পাশাপাশি দখলদার বাহিনী প্রত্যাহার করা হবে। মধ্যস্থতাকারী ভাইদের কাছ থেকে এবং আমেরিকান প্রশাসন নিশ্চিত করেছে যে যুদ্ধ সম্পূর্ণভাবে শেষ হয়েছে।’

যুদ্ধবিরতি পরিস্থিতি পর্যবেক্ষণ ও সমর্থনের জন্য ইসরাইলে ২০০ মার্কিন সেনা পাঠানো হচ্ছে বলে জানিয়েছে ট্রাম্প প্রশাসন। ঊর্ধ্বতন মার্কিন কর্মকর্তারা জানায়, যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকায় মানবিক সাহায্যের পাশাপাশি লজিস্টিক ও নিরাপত্তা সহায়তা দিতে কাজ করবে মার্কিন সেনারা।

আর যুদ্ধবিরতি কার্যকরের প্রথম ৬০ দিনের মধ্যে গাজায় মানবিক সহায়তা বাড়ানোর পরিকল্পনা করছে জাতিসংঘ। মৌলিক খাদ্য চাহিদা মেটাতে ২ লাখ পরিবারকে খাদ্য চাহিদা পূরণ করতে নগদ অর্থ সাহায্য ও চিকিৎসা সেবা দেয়া হবে বলে জানিয়েছেন জাতিসংঘের সাহায্য প্রধান টম ফ্লেচার।

সেজু