রাশিয়ার ব্যবহৃত ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনে পশ্চিমা কোম্পানির যন্ত্রাংশের অভিযোগ জেলেনস্কির

ভলোদিমির জেলেনস্কি
ভলোদিমির জেলেনস্কি | ছবি: সংগৃহীত
0

ইউক্রেনে হামলায় ব্যবহৃত রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনে বিভিন্ন পশ্চিমা কোম্পানির যন্ত্রাংশ থাকার অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি। গতকাল (সোমবার, ৬ অক্টোবর) সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া এক ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি ইঙ্গিত করেন, রাশিয়ার ওপর পশ্চিমারা নিষেধাজ্ঞা আরোপ করলেও তাতে ফাঁক আছে। এদিকে, পুতিনের হুঁশিয়ারি নাকচ করে দিয়ে ইউক্রেনকে টমাহক মিসাইল দেয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে ট্রাম্পের তৎপরতা ও পুতিনকে দেয়া আল্টিমেটাম ধামাচাপা পড়ে যাচ্ছে কিয়েভ-মস্কো পাল্টাপাল্টি হামলায়।

সোমবার এক বিবৃতিতে রাশিয়ার প্রতিরক্ষা মন্ত্রণালয় দাবি করেছে, খারকিভে জেলেনস্কি সেনাদের একটি শক্তিশালী ঘাঁটির দখল নিয়েছে রুশ সেনারা। ধ্বংস করা হয়েছে যুদ্ধ সরঞ্জাম। এছাড়া ইউক্রেনের জ্বালানি অবকাঠামোসহ হামলা হয়েছে প্রায় দেড়শো গুরুত্বপূর্ণ লক্ষ্যবস্তুতে। এসময় ইউক্রেনীয় সেনাদের ছোড়া ৬টি মার্কিন হিমার্স রকেট, দূরপাল্লার ক্রুজ মিসাইল, ৩৫৬ টি ফিক্সড উইং ড্রোন প্রতিহত করেছে মস্কো।

তবে, এদিন যুদ্ধক্ষেত্রে নিজেদের অর্জন নিয়ে বিশেষ কিছুই জানায়নি ইউক্রেন। শুধু দেশটির সশস্ত্র বাহিনীর জেনারেল জানিয়েছেন, সোমবার ফ্রন্ট লাইনে ২৩১ বার মুখোমুখি সংঘাতে জড়িয়েছে ইউক্রেনীয় ও রুশ সেনারা।

আরও পড়ুন:

যুদ্ধক্ষেত্রে যখন পুতিন সেনাদের হামলায় কিছুটা ব্যাকফুটে ইউক্রেন, তখন দেশটির প্রেসিডেন্টের মনোযোগ রাশিয়ার ওপর পশ্চিমা নিষেধাজ্ঞা নিয়ে। সামাজিক মাধ্যম এক্সে দেয়া ভিডিও বার্তায় জেলেনস্কি দাবি করেছেন, রাশিয়ার ওপর যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপের ইউক্রেনের মিত্র দেশগুলো যে নিষেধাজ্ঞা আরোপ করেছে তাতে অনেক ফাঁক-ফোঁকর আছে। একই সঙ্গে, ইউক্রেনে হামলায় ব্যবহৃত রাশিয়ার ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোনে বিভিন্ন পশ্চিমা কোম্পানির যন্ত্রাংশ থাকার অভিযোগ করেছেন প্রেসিডেন্ট ভলোদিমির জেলেনস্কি।

ভিডিও বার্তার সঙ্গে দেয়া পোস্টে জেলেনস্কি আরও দাবি করেন, গেল ২ রাতে যেসব ক্ষেপণাস্ত্র ও ড্রোন দিয়ে হামলা করা হয়, সেগুলো বানাতে ব্যবহার করা হয়েছে যুক্তরাষ্ট্র, যুক্তরাজ্য, জার্মানি, সুইজারল্যান্ড, জাপান, উত্তর কোরিয়া, নেদারল্যান্ডস, চীন ও তাইওয়ানের অস্ত্র নির্মাতা প্রতিষ্ঠানের সরঞ্জাম।

এদিকে, ইউক্রেনকে 'টমাহক' মিসাইল দেওয়া নিয়ে ওয়াশিংটনকে যে সতর্ক বার্তা দিয়েছিলেন পুতিন তা তেমন আমলে নেননি মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বরং, ইউক্রেনকে টমাহক মিসাইল দেয়ার বিষয়ে সবুজ সংকেত দিয়েছেন ট্রাম্প। তবে এই মিসাইল ইউক্রেন কীভাবে এবং কোথায় ব্যবহার করবে তা বিশদে জানার আগ্রহ প্রকাশ করেছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

বার্তা সংস্থা বিবিসি দাবি করছে, ইউক্রেনে যুদ্ধ বন্ধে ইউরোপে কিয়েভের মিত্র রাষ্ট্র ও যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে যে তাড়াহুড়ো দেখা গিয়েছিল তাতে কিছুটা ভাটা পড়েছে। আর সেই সুযোগে ইউক্রেনীয় ভূখণ্ডে অভিযানের তীব্রতা বাড়িয়েছে মস্কো।

ইএ