তবে ছবিতে যে দৃশ্য দেখা যাচ্ছে তা ভূমিকম্প বা বুলডোজারের আঘাত নয়, এটি ইরানি মিসাইলের আঘাতে ধ্বংসস্তূপ হয়ে যাওয়া তেল আবিবের বিভিন্ন এলাকার চিত্র। ভবনগুলো মিসাইলে এমনভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, খোলা চোখে মনে হচ্ছে এটি ভয়ঙ্কর কোনো প্রাকৃতিক দুর্যোগ কাটিয়ে ওঠা অঞ্চল।
সচরাচর প্রায়শই শোনা যায়— ‘প্রকৃতি কাউকে ছাড় দেয় না।’ হয়তো সেই কথা-ই সত্যি হচ্ছে ‘দখলদার ইসরাইলের’ সঙ্গে। উপত্যকা গাজাসহ ফিলিস্তিনের বিভিন্ন অঞ্চলে চালানো ধ্বংসযজ্ঞ ও অব্যাহত বর্বরতায় গোটা দুনিয়াজুড়ে নিন্দিত ইসরাইল।
আরো পড়ুন:
ইসরাইল ভূখণ্ড তছনছ হচ্ছে ইরানের মিসাইলের আঘাতে। যেন গাজা নগরীর সঙ্গে যা যা ঘটেছে, তারই পুনরাবৃত্তি দেখছে বিশ্ব।
ইরানের পারমাণবিক স্থাপনাগুলোয় মার্কিন হামলার পরপরই আজ ইরানের একাধিক ক্ষেপণাস্ত্র উপকূলীয় শহর তেল আবিবসহ ইসরাইলের অন্তত ৩টি এলাকায় আঘাত হানে। হামলায় তেল আবিবের রামাত আবিভ এলাকার কয়েকটি ভবন ব্যাপক ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে।
এতে অন্তত ২৩ জন আহত হয়েছেন বলে জানিয়েছে দেশটির পুলিশ ও উদ্ধারকারী সংস্থা।
ঘটনাস্থল পরিদর্শনে গিয়ে তেল আবিবের মেয়র রন হুলদাই বলেন, ‘যে বাড়িটি সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, সেটি আগে থেকেই ভেঙে ফেলার পরিকল্পনা ছিল। তাই ভেতরে কেউ ছিলেন না।
তিনি জানান, যারা আশ্রয়কেন্দ্রে ছিলেন, তারা সবাই সুস্থ ও নিরাপদে আছেন। এদিকে ইসরাইলি পুলিশ বিবৃতিতে জানিয়েছে, তেল আবিবের দক্ষিণে নেস জিওনা এবং উত্তরের হাইফাতেও ক্ষেপণাস্ত্রের আঘাত লেগেছে।
আরো পড়ুন:
ইসরাইলি সেনাবাহিনী জানায়, স্থানীয় সময় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে দুই ধাপে ইরান থেকে ক্ষেপণাস্ত্র ছোড়া হয়। এতে ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয় ওই অঞ্চলের বাড়িঘর। ফুটে ওঠে ভবনগুলোর কঙ্কালসার চিত্র।
ইসরাইলে ক্ষেপণাস্ত্র হামলা সম্পর্কিত তথ্য কঠোর সামরিক সেন্সরশিপের অধীন। তবে গত ১৩ জুন ইরানের সঙ্গে যুদ্ধ শুরু হওয়ার পর থেকে দেশজুড়ে অন্তত ৫০টি হামলার কথা আনুষ্ঠানিকভাবে স্বীকার করেছে নেতানিয়াহু সরকার। যাতে এ পর্যন্ত ২৫ জন নিহত হয়েছেন।





