ইউরোপীয় ইউনিয়নভুক্ত ২৭টি দেশের পণ্য আমদানিতে ১০ শতাংশ থেকে বাড়িয়ে ৫০ শতাংশ এবং টেক জায়ান্ট অ্যাপলের আইফোনে ২৫ শতাংশ শুল্কারোপের হুমকি দিয়ে ফের বাণিজ্য যুদ্ধ ইস্যুতে আলোচনায় মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প।
এরপরই পতন দেখা যায় যুক্তরাষ্ট্র ও ইউরোপীয় পুঁজিবাজারে। দুশ্চিন্তায় পড়েন মার্কিন আমদানিকারক ও ইউরোপের রপ্তানিকারকরা।
এ অবস্থায় ইইউ প্রেসিডেন্ট উরসুলা ভন ডার লিয়েনের অনুরোধে ৫০ শতাংশ শুল্কারোপের সিদ্ধান্ত পহেলা জুনের পরিবর্তে ৯ জুলাই পর্যন্ত স্থগিত রাখতে সম্মত হয়েছেন বলে জানালেন ট্রাম্প।
যুক্তরাষ্ট্র প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘উরসুলা ভন ডার লিয়েন আমাকে ফোন করেছেন। তিনি শুল্কারোপের সিদ্ধান্তটি ১ জুনের পরিবর্তে সময় বাড়ানোর জন্য অনুরোধ করেছেন। আমি এটি করতে রাজি হয়েছি। সমস্যা সমাধান করতে খুব দ্রুতই তিনি আমার সঙ্গে বৈঠক করতে চেয়েছেন।’
আমদানি নির্ভরতা কমিয়ে যুক্তরাষ্ট্রকে উৎপাদনক্ষম রাষ্ট্রে রূপ দিতে পারস্পরিক শুল্কারোপ নীতির পথে হাঁটছে ট্রাম্প প্রশাসন।
তবে সম্প্রতি ট্রেজারি সেক্রেটারি স্কট বেসেন্ট বলেন, ‘টেক্সটাইল পণ্য উৎপাদন ফিরিয়ে আনতে আগ্রহী নয় যুক্তরাষ্ট্র।
বিষয়টি নিয়ে গণমাধ্যমের এক প্রশ্নের জবাবে ট্রাম্পও জানান, টেক্সটাইল নয়, কম্পিউটার, চিপ এবং ট্যাঙ্কের মতো বড় জিনিসপত্র উৎপাদনে গুরুত্ব দিচ্ছেন তারা।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘আমরা স্নিকার্স এবং টি-শার্ট তৈরি করতে চাই না। আমরা সামরিক সরঞ্জাম তৈরি বাড়াতে চাই। বড় বড় জিনিস উৎপাদনে মনোযোগী হতে চাই। অত্যাধুনিক কম্পিউটার উৎপাদন, চিপ, এআই, ট্যাঙ্কের মতো পণ্য নিয়ে কাজ করতে চাই।’
এমন খায়েশ থেকেই, সম্প্রতি টেক জায়ান্ট অ্যাপলকে টার্গেট করেন ট্রাম্প। কারণ চীনের ওপর ৫৪ শতাংশ মার্কিন শুল্কের জেরে সেখান থেকে সরিয়ে ভারতে আইফোনের উৎপাদন বাড়ানোর পদক্ষেপ নেয় অ্যাপল। পরে যুক্তরাষ্ট্রে কারখানা না বাড়ালে অ্যাপলের পণ্যে ২৫ শুল্কারোপের হুমকি দেন ট্রাম্প।