মধ্যপ্রাচ্য সফরে এসে সৌদি আরবের কাছ থেকে উষ্ণ আতিথেয়তা পেয়ে ডোনাল্ড ট্রাম্প যাবেন কাতারে। এর আগে রিয়াদে অংশ নেবেন গাফ কাউন্সিল কর্পোরেশনের সম্মেলনে। মার্কিন প্রেসিডেন্টের আগমনি বার্তায় সর্বোচ্চ প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ কাতার। এদিকে, সৌদি আরবে সফরের প্রথম দিনেই নিশ্চিত করেছেন কোটি কোটি ডলারের চুক্তি। জানান, যুক্তরাষ্ট্রের মতো প্রতিরক্ষা পণ্য আর কেউ তৈরি করতে পারে না।
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘এই সফরে ১ ট্রিলিয়ন ডলারের বিনিয়োগ নিশ্চিত করবো। আমাদের দেশে বিনিয়োগ হবে। মধ্যপ্রাচ্যের দেশগুলো আমাদের পণ্য কিনবে। আমাদের মতো সামরিক পণ্য কেউ তৈরি করতে পারে না। সবচেয়ে ভালো মিসাইল, রকেট, সাবমেরিন আমরাই দেই। দেশে বিনিয়োগ আর চাকরির বিস্ফোরণ ঘটাবো।’
তিনি বলেন, এই অঞ্চল আর পুরো বিশ্বকে নিরাপদ রাখতে ইরানের সঙ্গে পরমাণু চুক্তি করতে চায় যুক্তরাষ্ট্র। কিন্তু তেহরান চুক্তিতে না আসলে নতুন করে নিষেধাজ্ঞার হুমকি দেন ট্রাম্প।
আবারও মনে করিয়ে দেন, ভারত–পাকিস্তান যুদ্ধ বন্ধে যুক্তরাষ্ট্রের ভূমিকার কথা। তিনি বলেন, রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ বন্ধেও অক্লান্ত পরিশ্রম করছেন তিনি। সবদিক থেকে কূটনৈতিক তৎপরতার জন্য সৌদি আরবকে ধন্যবাদ জানান তিনি।
ডোনাল্ড ট্রাম্প বলেন, ‘ইরানের সঙ্গে চুক্তি করতে চাই। খুব খুশি হবো যদি ইরান চুক্তি করে। এই অঞ্চল নিরাপদ রাখার জন্য যা খুব জরুরি। কিন্তু ইরানের বর্তমান সরকার যদি চুক্তি না করে, আমাদের সর্বোচ্চ চাপ প্রয়োগ করতে হবে। তেলের রপ্তানি শূন্যে নামিয়ে আনার ব্যবস্থা করবো। এই দেশ দেউলিয়া হওয়ার পথেই আছে।’
সৌদি-যুক্তরাষ্ট্র বিনিয়োগ ফোরামের বক্তব্যে সৌদি যুবরাজ বলেন, রিয়াদের কাছে সমরাস্ত্র বিক্রি করবে ওয়াশিংটন। এখন পর্যন্ত এটি বৃহত্তম প্রতিরক্ষা চুক্তি উল্লেখ করে তিনি আরো বলেন, বর্তমানে যুক্তরাষ্ট্রের সবচেয়ে বড় অস্ত্রের ক্রেতা সৌদি আরব।
সৌদি যুবরাজ মোহাম্মদ বিন সালমান বলেন, ‘প্রেসিডেন্টকে বলতে চাই, আমরা আত্মবিশ্বাসী। যেই অংশীদারি চুক্তি দুই দেশের মধ্যে হচ্ছে তা নিয়ে আমার আস্থা আছে। দুই দেশের মধ্যে বিনিয়োগ, সমঝোতা বাড়ছে। শুধু অর্থনৈতিক সমঝোতা নয়, এই অঞ্চল, এমনকি পুরো বিশ্বে নিরাপত্তা প্রতিষ্ঠায় দুই দেশ একসঙ্গে কাজ করবে।’
বুধবার রিয়াদে গাল্ফ কাউন্সিল কর্পোরেশনের সম্মেলনে যোগ দেবেন ট্রাম্প। এই বৈঠকে গাল্ফভুক্ত দেশগুলো ডোনাল্ড ট্রাম্পকে চাপ দিতে পারে গাজা ইস্যুতে।
বিশ্লেষকরা বলছেন, ডোনাল্ড ট্রাম্পের মধ্যপ্রাচ্য সফর গাজায় যুদ্ধবিরতি নিয়ে আলোচনার জন্য গাল্ফভুক্ত দেশগুলোর জন্য এক বড় সুযোগ। সৌদি আরব সফর শেষে কাতার যাচ্ছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প। এরপর যাবেন সংযুক্ত আরব আমিরাতে।





