এবার লোকসভায় অভিবাসন বিল পাশের দিনে বাংলাদেশের দিকে আঙুল তুললো ভারতের ক্ষমতাসীন বিজেপি। গেরুয়া শিবিরের দাবি, ২০২৩ এর এপ্রিল থেকে ২০২৪ এর মার্চ পর্যন্ত ভারতে যে ৯৮ লাখ বিদেশি প্রবেশ করেছেন, যাদের বেশিরভাগই এসেছেন বাংলাদেশ থেকে।
গেল মার্চের দ্বিতীয় সপ্তাহে অভিবাসন সংক্রান্ত ব্রিটিশ আমলের ৩টি আইন বাতিল করে নতুন আইন কার্যকরে লোকসভায় প্রস্তাব তোলেন বিজেপি নেতারা। আজ (বুধবার, ১ এপ্রিল) এই অভিবাসন বিল ২০২৫ অনুমোদন দিয়েছে লোকসভা। ভারতীয় গণমাধ্যম বলছে, বিল কার্যকর হলেই বিলুপ্ত হবে ১৯২০ সালের পাসপোর্ট আইন। বাতিল হয়ে যাবে স্বাধীনতা পরবর্তী ২০০০ সালের অভিবাসন আইনও।
এদিন, লোকসভার অধিবেশনে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, যারা নিয়ম মেনে ভারতে আসবেন, কাজ করে দেশের অর্থনীতিকে সমৃদ্ধ করবেন তাদেরকে স্বাগত জানানো হবে। বিলটি আইনে পরিণত হলে ব্যবসা, শিক্ষা ও গবেষণার জন্য ভারতে আসতেও কোনো বাধা থাকবে না।
ভারতের স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী অমিত শাহ বলেন, ‘রোহিঙ্গা হোক বা বাংলাদেশি, যদি ভারতে অশান্তি করতে আসে, তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।’
অধিবেশন চলাকালে বিজেপি নেতাদের এমন বক্তব্যের পর ভারতীয় গণমাধ্যমের দাবি, নতুন এই অভিবাসন আইন প্রণয়নের পেছনে বড় কারণ বাংলাদেশ। কোচবিহার থেকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগোনা পর্যন্ত দীর্ঘ ২ হাজার ২১৬ কিলোমিটার এলাকা জুড়ে ভারত ও বাংলাদেশের আন্তর্জাতিক সীমান্ত।
অধিকাংশ কাঁটাতার দিয়ে ঘেরা হলেও খোলা পড়ে আছে ৫৬৩ কিলোমিটার এলাকা। এরমধ্যে ১১২ কিলোমিটার এলাকা নদী-নালা আর পাহাড়ে ঘেরা হওয়ায় বেড়া দেয়া সম্ভব নয়। ভারতীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের ইঙ্গিত এই বিশেষ এলাকা দিয়েই ভারতে ঢুকে পড়ছেন বাংলাদেশিরা।