চলতি সপ্তাহে গ্রিনল্যান্ড সফরে যাচ্ছে যুক্তরাষ্ট্রের উচ্চপর্যায়ের প্রতিনিধিদল। যেখানে সেকেন্ড লেডি উষা ভ্যান্স ছাড়াও থাকবেন মার্কিন গোয়েন্দা উপদেষ্টা মাইক ওয়াল্টজ ও জ্বালানি বিষয়ক মন্ত্রী ক্রিস রাইট।
ইতোমধ্যে ভিভিআইপিদের নিরাপত্তায় দ্বীপটিতে পাঠানো হয়েছে দুটি হারকিউলিস মিলিটারি ট্রান্সপোর্ট প্লেন, নিরাপত্তাবাহিনীর সদস্য ও বুলেটপ্রুফ গাড়ি। মার্কিন সামরিক ঘাঁটি পিটুফিকসহ বেশ কিছু ঐতিহাসিক স্থাপনা পরিদর্শন করবেন তারা। তবে মার্কিন প্রতিনিধিদলের সফরের খবরে শ্বেতশুভ্র দ্বীপটিতে ছড়িয়েছে উত্তাপ।
উচ্চপর্যায়ের এই সফরকে উষ্কানিপূর্ণ ও আগ্রাসী হিসেবে মন্তব্য করেছেন আধা স্বায়ত্তশাসিত অঞ্চলটির বিদায়ী প্রধানমন্ত্রী মিউত এগেদে। এক ফেসবুক পোস্টে তিনি জানান, মার্কিনদের বিশ্বাস করার দিন শেষ। অন্যদিকে পারস্পরিক শ্রদ্ধাপূর্ণ সম্পর্কের ভিত্তিতে এই সফরকে ডেনমার্ক গুরুত্ব সহকারে দেখবে বলে জানিয়েছেন দেশটির প্রধানমন্ত্রী।
বিশ্লেষকরা বলছেন, সৌজন্য সফর হিসেবে দেখানো হলেও এটি পুরোপুরি রাজনৈতিক সফর। উচ্চপর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধিদল প্রেরণের মাধ্যমে দ্বীপটি কিনে নেয়ার বিষয়ে নিজের অবস্থান ধরে রাখার ইঙ্গিত দিয়েছেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। যার পেছনে রয়েছে গ্রিনল্যান্ডের দুর্লভ খনিজ সম্পদ দখল ও আর্কটিক অঞ্চলে আধিপত্য তৈরি।
সিএনএন হোয়াইট হাউসের সংবাদদাতা আলাইনা ট্রেনি বলেন, ‘গ্রিনল্যান্ডের দুর্লভ খনিজ সম্পদগুলো যুক্তরাষ্ট্রের প্রযুক্তি খাতের কাজে আসবে। তবে সমালোচনার মূল কারণ গ্রিনল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রী জাতীয় নিরাপত্তার বিষয়টি গুরুত্ব দিয়েছেন। কারণ আর্কটিক অঞ্চলে রাশিয়া ও চীনের আগ্রাসন বন্ধের পথ হিসেবে গ্রিনল্যান্ডকে বিবেচনা করছে যুক্তরাষ্ট্র।’
প্রেসিডেন্ট হিসেবে প্রথম মেয়াদে দায়িত্ব পালনকালে গ্রিনল্যান্ড ক্রয়ের পরিকল্পনা তুলে ধরেন ট্রাম্প। যা অব্যাহত রয়েছে এবারও। তবে এবার আরও আগ্রাসী ট্রাম্প সেনা প্রেরণের মাধ্যমে দ্বীপটি দখলের হুমকিও দিয়েছেন বেশ কয়েকবার। যদিও এ পরিকল্পনার কারণে গ্রিনল্যান্ড ও ডেনমার্কের পাশাপাশি ইইউ'র কাছ থেকে দুয়োধ্বনি শুনতে হয়েছে মার্কিন প্রেসিডেন্টকে।