
মার্কিন প্রতিনিধি দলের সফরে উত্তপ্ত গ্রিনল্যান্ডের রাজনীতি
চলতি সপ্তাহে উচ্চপর্যায়ের মার্কিন প্রতিনিধি দলের গ্রিনল্যান্ড সফরের খবরে উত্তপ্ত দ্বীপটির রাজনীতি। সফরটিকে উস্কানিপূর্ণ ও আগ্রাসী হিসেবে মন্তব্য অঞ্চলটির প্রধানমন্ত্রীর। বিশ্লেষকদের দাবি, গ্রিনল্যান্ডের দুর্লভ খনিজ সম্পদ দখল ও আর্কটিক অঞ্চলে আধিপত্য তৈরির অংশ হিসেবে প্রতিনিধি প্রেরণ করছেন ট্রাম্প।

আর্কটিকে উত্তেজনা: অ্যান্টি-আইসিং ড্রোন তৈরিতে গবেষণা
মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্পের গ্রিনল্যান্ড দখলের ইচ্ছায় উত্তপ্ত হিমশীতল আর্কটিক অঞ্চল। এছাড়া রাশিয়া এবং চীনের সামরিক তৎপরতায় উত্তেজনা তুঙ্গে বরফ ঢাকা অঞ্চল আর্কটিকে। এ অবস্থায় বরফের মধ্যেও ড্রোন চলাচল সক্ষমতা নিশ্চিতে ওঠে পড়ে লেগেছে বিশ্বের সবচেয়ে উত্তর মেরু অঞ্চলের দেশগুলো। দীর্ঘ-পাল্লার বিমানের মতো অ্যান্টি-আইসিং ড্রোন তৈরিতে গবেষণা যেমন শুরু হয়েছে, তেমনি তীব্র শীত আবহাওয়া-প্রতিরোধী ড্রোন কেনার জন্য করছে মিলিয়ন মিলিয়ন ডলারের বাজেট পরিকল্পনাও।

আর্কটিক অঞ্চলের নিরাপত্তা বাড়াতে ডেনমার্কের নতুন বিনিয়োগ পরিকল্পনা
আর্কটিক অঞ্চলের নিরাপত্তা বাড়াতে প্রায় ২ বিলিয়ন ডলার খরচ করবে ডেনমার্ক। মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প গ্রিনল্যান্ড দখলের ঘোষণার কয়েকদিনই পরই ডেনমার্ক তাদের স্বায়ত্বশাসিত অঞ্চলটি রক্ষায় এ পদক্ষেপ নিয়েছে।

শুধু ট্রাম্প নন, গ্রিনল্যান্ড দ্বীপে নজর ছিল আরো দুই প্রেসিডেন্টের
কেবল ডোনাল্ড ট্রাম্প নন, যুক্তরাষ্ট্রের আরও দু'জন সাবেক প্রেসিডেন্টের নজর ছিল বিশ্বের সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডের ওপর। নৃ-বিজ্ঞানীদের অভিমত, খনিজ উপাদান আর নৌরুট ছাড়াও ভৌগোলিক অবস্থানের কারণে ঐতিহাসিকভাবে মার্কিন প্রশাসনের নজর ছিল ডেনমার্কের স্বায়ত্তশাসিত দ্বীপটির ওপর। পাশাপাশি, নিরাপত্তা বিশ্লেষকরা বলছেন, গ্রিনল্যান্ডের অভ্যন্তরে মার্কিন সেনা ঘাঁটি থাকলেও দ্বীপের নিয়ন্ত্রণ শত্রুপক্ষের দখলে চলে গেলে জাতীয় নিরাপত্তা নিয়েও বেগ পেতে হতে পারে ওয়াশিংটনকে।

গ্রিনল্যান্ডের ভূমিধসে পৃথিবী কেঁপেছিল টানা নয় দিন
গ্রিনল্যান্ডে ভূমিধসের কারণে পুরো পৃথিবী কেঁপেছিল টানা নয় দিন। জলবায়ু পরিবর্তনের কারণে ভূমিধস আর বড় ধরনের সুনামি হয়েছে উত্তর মেরুতে অবস্থিত পৃথিবীর সবচেয়ে বড় দ্বীপ গ্রিনল্যান্ডে। কেঁপে ওঠে আর্কটিক থেকে অ্যান্টার্কটিকা। সাম্প্রতিক বৈজ্ঞানিক গবেষণায় উঠে এসেছে এই তথ্য।