পারমাণবিক স্থাপনায় হামলা হলে পুনর্নির্মাণের হুঁশিয়ারি ইরানের

বিদেশে এখন
0

ইরানের পারমাণবিক স্থাপনার ওপর হামলা হলে নতুন করে সেই স্থাপনা নির্মাণের সক্ষমতা আছে তেহরানের। বৃহস্পতিবার (১৩ ফেব্রুয়ারি) এক বৈঠকে এই হুঁশিয়ারি দিয়েছেন ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ইরানকে নতজানু অবস্থায় দেখতে যুক্তরাষ্ট্রের ঘনিষ্ঠ মিত্র ইসরাইল যে ষড়যন্ত্র করছে তা শক্তভাবে প্রতিহত করা হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি।

সম্প্রতি ইরানের পরমাণু স্থাপনার ওপর হামলা নিয়ে চাঞ্চল্যকর এক প্রতিবেদন প্রকাশ করেছে মার্কিন গণমাধ্যম দ্য ওয়াশিংটন পোস্ট। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, মার্কিন গোয়েন্দা সংস্থার ধারণা, বড় ধরনের কোনো অভিযানের আগে ইরানের পরমাণু স্থাপনা লক্ষ্য করে পরীক্ষামূলক একটি হামলার পরিকল্পনা আছে ইসরাইলের।

এরআগে, ১০ ফেব্রুয়ারি ফক্স নিউজকে দেয়া সাক্ষাৎকারে নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডোনাল্ড ট্রাম্প মন্তব্য করেন, ইরান যেন নতুন করে পরমাণু অস্ত্রের সক্ষমতা বাড়াতে না পারে সে জন্য প্রয়োজনে তেহরানের সাথে চুক্তি করবে ওয়াশিংটন।

এই দুই ঘটনার জেরে এবারে মুখ খুলেছেন, ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান। ইসরাইলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে বলেছেন, ইরানের ১শ' পরমাণু স্থাপনা গুঁড়িয়ে দিলে নতুন করে আরো ১ হাজার পরমাণু স্থাপনা নির্মাণের সক্ষমতা আছে তেহরানের। পেজেশকিয়ান দাবি করেন, হামলা করে স্থাপনা ধ্বংস করা সম্ভব, কিন্তু যারা এই নিউক্লিয়ার সেন্টার বিনির্মাণের নেপথ্যে আছেন, তাদের ধ্বংস করা সম্ভব না।

ইরানের প্রেসিডেন্ট মাসুদ পেজেশকিয়ান বলেন, ‘আজ তারা হুমকি দিচ্ছে, নাতাজের মতো পরমাণু স্থাপনায় হামলা করা হবে। অথবা অন্য কোথায় হামলা হবে। আমরা ভয় পাই না। আপনাদের ক্ষমতা থাকলে আঘাত করুন। আমাদের ক্ষুদে বিজ্ঞানীরাই এ ধরনের স্থাপনা আবার নির্মাণ করতে সক্ষম।’

পরমাণু স্থাপনায় হামলা প্রসঙ্গে ট্রাম্পের সাথে আলোচনার বিষয়ে পেজেশকিয়ান বলেন, মার্কিন প্রেসিডেন্ট আলোচনার নামে একের পর এক শর্ত দিতে পছন্দ করেন। শর্ত না মানলে নিষেধাজ্ঞা আরোপের হুমকি দেন তিনি। তেহরান বৈঠকের জন্য প্রস্তুত হলেও ওয়াশিংটন আদৌ বৈঠকের মাধ্যমে সমস্যার নিষ্পত্তি চায় কী না এ নিয়ে সন্দেহ প্রকাশ করেন পেজেশকিয়ান।

চলতি মাসের শুরুতে ট্রাম্প প্রশাসন ইরানের তেল রপ্তানির একটি নেটওয়ার্কের ওপর নতুন করে নিষেধাজ্ঞা আরোপের ঘোষণা দেয়। এই নেটওয়ার্ক হয়ে ইরানের তেল পৌঁছাতো চীনে। এরআগে, ট্রাম্প ইরানের তেল রপ্তানি শূন্যের কোঠায় নামিয়ে আনাতে নতুন নীতিরও প্রস্তাব করেন। ফলে একদিকে ঝুড়িঝুড়ি নিষেধাজ্ঞা অন্যদিকে আলোচনার প্রস্তাব দিয়ে নয়া মার্কিন প্রেসিডেন্ট কী হাসিল করতে চাইছেন এ নিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত সংশ্লিষ্টরাও।

ইএ