দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির প্রত্যাবর্তনের সম্ভাবনা

.
বিদেশে এখন
0

২৭ বছর পর দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে প্রত্যাবর্তনের খুব কাছাকাছি বিজেপি। ভারতীয় গণমাধ্যম এনডিটিভিসহ অন্তত ৭টি বুথ ফেরত জরিপ বলছে, ৭০ আসনের মধ্যে ৪১টি আসনে জয় পেতে পারে ভারতীয় জনতা পার্টি। আর গেল ৩ নির্বাচনে দাপট ধরে রাখা আম আদমি পার্টিকে সন্তুষ্ট থাকতে হবে ২৮টি আসন নিয়ে। কেন হঠাৎ জরিপে এগিয়ে বিজেপি কিংবা কী কারণে ঘুরে যেতে পারে নির্বাচনের ফলাফল।

ডিভি রিসার্চ, চাণক্য স্ট্র্যাটেজিস, জেভিসি, পোল ডায়েরি, পিপল'স ইনসাইট, পি-মার্ক কিংবা পিপল'স পোলের মতো ৭টি নির্ভরযোগ্য সূত্রের বুথ ফেরত জরিপ বলছে, ২৭ বছরের খরা কাটিয়ে দিল্লির বিধানসভা নির্বাচনে ৭০টি আসনের ৪০টিতে জয় পেতে যাচ্ছে বিজেপি। যদিও এসব বুথ ফেরত জরিপের তথ্য একাধিকবার ভুল প্রমাণিত হতে দেখা গেছে।

একশো কোটির বেশি মানুষের চোখ ছিল এই নির্বাচনে। দিল্লির বিধানসভায় লড়েছেন ৬৯৯ প্রার্থী। ১৪ হাজারেরও বেশি পোলিং স্টেশনে ভোট দেন দেড় কোটিরও বেশি ভোটার। স্থানীয় সময় সকাল ৭টা থেকে শুরু হয়ে ভোটগ্রহণ চলে সন্ধ্যা ৬টা পর্যন্ত। বিকেল ৫টা পর্যন্ত ভোট পড়েছে প্রায় ৫৮ শতাংশ।

২০২০ এর বিধানসভা নির্বাচনে আম আদমি পার্টির ৬২টি আসনের বিপরীতে মাত্র ৮টি আসন পেয়েছিল গেরুয়া শিবির। অথচ, এবারের এক্সিট পোলে দেখানো হচ্ছে ৩০টির বেশি আসন পাওয়ার সম্ভাবনা নেই দিল্লির ক্ষমতাসীন আম আদমির।

বুথফেরত এই জরিপে বিজেপির জয়জয়কারের কারণ অনুসন্ধানের চেষ্টা করেছে ভারতীয় বেশ কয়েকটি গণমাধ্যম। এরআগে, গেল ১০ বছরে একাধিক সংবাদ সম্মেলনে যমুনা নদীর দূষণ কমানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছেন আম আদমি পার্টির নেতা অরবিন্দ কেজরিওয়াল। ২০১৫ ও ২০২০ সালের নির্বাচনী ইশতেহারেও এর উল্লেখ ছিল। ইন্ডিয়া টুডে'র প্রতিবেদন বলছে, যমুনা নদীর দূষণ বন্ধ ছাড়াও দিল্লির পয়ঃনিষ্কাশনের দায়িত্ব নেয়ার পরেও দুই মেয়াদে তা বাস্তবায়নে ব্যর্থ হওয়ায় জনপ্রিয়তা হারিয়েছে আম আদমি পার্টি। প্রশ্ন উঠেছে কেজরিওয়ালের সত্যবাদিতা নিয়েও।

দুর্নীতিবিরোধী নেতা হিসেবে পরিচিতি পেয়ে দিল্লির মুখ্যমন্ত্রীর দায়িত্ব পেয়েছিলেন কেজরিওয়াল। ক্ষমতা গ্রহণের পর মদ বিক্রির লাইসেন্স দেওয়ার বিনিময়ে ঘুষ গ্রহণ অভিযোগে কেজরিওয়ালসহ আম আদমি পার্টির বেশ কয়েকজন নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়। মুখ্যমন্ত্রীর পদ থেকে পদত্যাগ করতে বাধ্য হন তিনি। নির্বাচনে সুবিধা পেতে কেজরিওয়ালের বিরুদ্ধে এই দুর্নীতিকেই হাতিয়ার করেছে বিজেপি। বুথ ফেরত জরিপে সেই আভাসই দেখা যাচ্ছে এমন দাবি এনডিটিভির।

এছাড়া, ভারতের দিল্লিই একমাত্র রাজ্য যেখানে মধ্যবিত্ত শ্রেণির ভোট গুরুত্ব পায় সবচেয়ে বেশি। মধ্যবিত্ত শ্রেণির এই ৬৭ শতাংশ ভোটার মূলত বিজেপি ও মোদি ম্যাজিকে মজেছেন বলে দাবি ভারতীয় গণমাধ্যমের। ফলে, এই বিশাল ভোটব্যাঙ্কই আম আদমি পার্টির জন্য কাল হয়ে আসতে যাচ্ছে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

ইএ