পুরোদস্তুর রাজনীতিবিদ হওয়ার আগে আবাসন ব্যবসায়ী হিসেবে নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তাই যুক্তরাষ্ট্র এমনকি পৃথিবীর সর্বোচ্চ শক্তিধর ব্যক্তি হবার পরেও দায়িত্বশীলতার বদলে আগ্রাসী আচরণে বিশ্বাসী এই নেতা।
আর মাত্র কদিন বাদেই দ্বিতীয় মেয়াদে হোয়াইট হাউসে প্রত্যাবর্তন করতে যাচ্ছেন ডোনাল্ড ট্রাম্প। তবে রিপাবলিকান এই নেতার একের পর এক হুমকির জেরে শঙ্কায় ইরান। দায়িত্ব গ্রহণের পর তেহরানে হামলা চালাবে ওয়াশিংটন, এমন গুঞ্জনে সরব কূটনৈতিক অঙ্গন। সামনে কী হতে পারে তা নিয়ে বিশ্লেষকেরাও সন্দিহান। তবে তাদের দাবি, প্রতিপক্ষকে চাপে রাখার মাধ্যমে ভালো প্রস্তাব পেতে চান নবনির্বাচিত মার্কিন প্রেসিডেন্ট। ট্রাম্পের কাঙ্ক্ষিত প্রস্তাবটি হতে পারে তেহরানের পরমাণু কর্মসূচি বন্ধের প্রতিশ্রুতি।
বিবিসির উত্তর আমেরিকা সম্পাদক সারাহ স্মিথ বলেন, ‘ডোনাল্ড ট্রাম্প বিতর্কিত মন্তব্য করতে পছন্দ করেন। তার মন্তব্যগুলো বাস্তবায়িত হতে পারে। আবার সমঝোতার কৌশলও হতে পারে। তবে সত্যি বিষয়টা কী, আমরা তা জানি না। প্রতিপক্ষকে ধোয়াশায় রেখে তিনি ভালো প্রস্তাব পেতে চান।’
তবে ট্রাম্পকে ইতিহাসের সবচেয়ে বড় হুমকি হিসেবে দেখছে ইরান। সবচেয়ে খারাপ পরিস্থিতি মোকাবিলায় রক্ষণভাগ শক্তিশালী করার দিকে মনোনিবেশ করেছে ইসলামিক রেভুলেশনারী গার্ড কর্পস। ইতোমধ্যেই নিজেদের অস্ত্র ভাণ্ডারে যোগ করা হয়েছে ১ হাজার শক্তিশালী ড্রোন। রাডার ফাঁকি দিয়ে ধ্বংসাত্মক এই ড্রোনগুলো ২ হাজার কিলোমিটার পাড়ি দিতে সক্ষম।
ইরান সেনাবাহিনীর কমান্ডার ইন চিফ আব্দুল রাহিম মুসাভি বলেন, ‘যুদ্ধকালীন পরিস্থিতির জন্য আমাদের ভাণ্ডারে ১ হাজার স্ট্র্যাটিজিক ড্রোন যোগ করা হয়েছে। ইরানের সামরিক সক্ষমতা আগের চেয়ে বেড়েছে। আমরা দেশকে রক্ষার জন্য সবসময় প্রস্তুত।’
জানুয়ারিতে দুই মাসব্যাপী সামরিক মহড়া শুরু করে আইআরজিসি। নতুন ভূগর্ভস্থ ক্ষেপণাস্ত্র ভাণ্ডার প্রকাশ্যে আনার পাশাপাশি আকাশ প্রতিরক্ষায় প্রদর্শন করা হয়েছে নতুন অস্ত্র। বিশ্লেষকদের ধারণা, ট্রাম্পের সঙ্গে সমঝোতার জন্য যুক্তরাষ্ট্রকে পাল্টা চাপে রাখতে মহড়া চালানোর কৌশল অবলম্বন করেছে পেজেশকিয়ান প্রশাসন।