বিদেশে এখন
0

তীব্র শীত ও কুয়াশায় বিপর্যস্ত উত্তর ভারত, মধ্যপ্রাচ্যেও সতর্কতা

তীব্র শীত আর ঘন কুয়াশায় বিপর্যস্ত উত্তর ভারতের কয়েক লাখ মানুষের জনজীবন। দৃষ্টিসীমা আশঙ্কাজনক হারে কমে যাওয়ায় বিঘ্নিত হচ্ছে বিমান ও রেল পরিষেবা। সড়কেও ব্যাহত হচ্ছে যান চলাচল। তাপমাত্রা নেমে এসেছে ১০ ডিগ্রি সেলসিয়াসের নীচে। এছাড়া ভারি বৃষ্টি, তুষারপাত ও ঘন কুয়াশার কারণে হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীরে জারি করা হয়েছে শীতকালীন সতর্কতা। এছাড়া, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে শীতের তীব্রতা আরও বেড়েছে মধ্যপ্রাচ্যের দেশ সৌদি আরবে।

বায়ুমান নিয়ে উদ্বেগ কমতে না কমতেই শীতের প্রকোপে বিপর্যস্ত ভারতের রাজধানীবাসী। আজ (রোববার, ৫ জানুয়ারি) সকালে নয়াদিল্লীর তাপমাত্রা নেমে আসে ৯ ডিগ্রি সেলসিয়াসে।

ঘন কুয়াশা আর কালো ধোঁয়ার কারণে সৃষ্ট স্মোক এফেক্টের কারণে দৃষ্টিসীমা কমেছে। একই অবস্থা শ্রীনগর, দিল্লির পালাম, হিসার, হরিয়ানার আমবালা, লক্ষ্ণৌ, আগ্রা, উত্তর প্রদেশের কানপুর, বিহারের পুর্নিয়া ও ভাগলপুরে।

শৈত্য প্রবাহের সাথে থেমে থেমে বৃষ্টি- গোটা উত্তর ভারতে থমকে আছে স্বাভাবিক জনজীবন। এছাড়া ঘন কুয়াশায় চণ্ডীগড়, পাঞ্জাব, হরিয়ানা, উত্তর প্রদেশের কিছু অঞ্চল, জম্মু-কাশ্মীর, উত্তরপশ্চিম রাজস্থান, মধ্যপ্রদেশ ও বিহারে দৃষ্টিসীমা নেমে এসেছে ৫০ মিটারেও নিচে। ভারি তুষারপাত ও বৃষ্টির কারণে হিমাচল প্রদেশ, পাঞ্জাব, জম্মু-কাশ্মীরে জারি আছে শীতকালীন সতর্কতা।

ভারতীয় আবহাওয়া দপ্তরের তথ্য বলছে, ৫ জানুয়ারি জম্মু-কাশ্মীরে তীব্র তুষারপাতের পূর্বাভাস আছে। ৫ ও ৬ জানুয়ারি হালকা তুষারপাত হতে পারে হিমাচল ও উত্তরাখণ্ডে। এতে করে আগামী দুই দিন ফ্লাইট বিলম্বের আশঙ্কা করছে এভিয়েশন বিশেষজ্ঞরা।

এর আগে, গেল শুক্রবার ৪ শতাধিক ও শনিবার অর্ধশত ফ্লাইট বিলম্বিত হয়েছে। ইন্দিরা গান্ধী আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর ও শ্রীনগরে আটকে ছিল ইন্ডিগোর বেশ কয়েকটি বিমান। উড্ডয়ন ও অবতরণ দুই সময়েই বেগ পেতে হয়েছে ঘন কুয়াশার কারণে।

পরিস্থিতি বিবেচনায় উত্তর ভারতের বেশকিছু অঞ্চলে কমলা সতর্কতা জারি করা করেছে প্রশাসন। বলা হচ্ছে শীতের এই তাণ্ডব আরও অন্তত ২০ দিন দীর্ঘায়িত হওয়ার আশঙ্কা আছে।

আবহাওয়া অফিস আরও জানাচ্ছে, আগামী ৬ জানুয়ারি সোমবার উত্তর ভারতে সর্বোচ্চ ও সর্বনিম্ন তামপাত্রা থাকতে পারে যথাক্রমে ১৯.১২ ও ৭.৭৪ ডিগ্রি সেলসিয়াস। বাতাসে আর্দ্রতার পরিমাণ কমে দাঁড়াবে ২৪ শতাংশে।

এদিকে, ইতিহাসে প্রথমবারের মতো তুষারপাত দেখার পর এবছরের শীতে সৌদিবাসীর মাথাব্যথার কারণ ভারি বৃষ্টি। ৫ জানুয়ারি রোববার থেকে আগামী বুধবার পর্যন্ত দেশটির বেশিরভাগ অঞ্চলে ভারি বৃষ্টির পূর্বাভাস দিয়েছে সৌদি আরবের আবহাওয়া বিভাগ।

এ সময় ঝোড়ো বাতাস ও উপকূলীয় অঞ্চলে উঁচু ঢেউ আছড়ে পরার আশঙ্কা আছে। গালফ নিউজের প্রতিবেদন বলছে, শীতকালীন ছুটির এই মৌসুমে দেশটির উত্তরাঞ্চলের তাপমাত্রা আরও নেমে যেতে পারে। তাবুক, আল জৌফ ও উত্তর সীমান্তে তুষারপাতের পূর্বাভাস দিয়েছে দেশটির আবহাওয়া দপ্তর।

এছাড়া আগামী কয়েকদিনে মক্কা, মদিনা হাইল, আল কাসিম, রিয়াদ ও পূর্বাঞ্চলে ভারি বৃষ্টির পাশাপাশি ধূলিঝড়ের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

ইএ