পরিবেশ ও জলবায়ু
বিদেশে এখন
0

অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ুতে সাইক্লোন ফেনজালের তাণ্ডব

সাইক্লোন ফেনজালের তাণ্ডবে ভারি বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসের কবলে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু রাজ্যের বেশ কয়েকটি অঞ্চল। ঝড়ের প্রভাবে চেন্নাইতে এখনও পর্যন্ত প্রাণহানি হয়েছে ৪ জনের। বিঘ্নিত হচ্ছে বিমান ও রেল পরিষেবা। এদিকে, সাইক্লোনের ফেনজালের গতিপথ পরিবর্তন হলেও শ্রীলঙ্কার উপকূলীয় শহরগুলোতে জারি করা হয়েছে রেড অ্যালার্ট। অন্যদিকে, ভারি বৃষ্টিপাতের প্রভাবে সৃষ্ট বন্যায় থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ায় আরও ১২ জনের মৃত্যু হয়েছে।

নভেম্বরের শেষ আর ডিসেম্বরের শুরুতে অপ্রত্যাশিত বৈরি আবহাওয়ার কবলে ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ ও তামিলনাড়ু রাজ্য। সাইক্লোন ফেনজালের প্রভাবে ভারি বৃষ্টি, আকস্মিক বন্যা ও ভূমিধসে মলিন আসন্ন শীতের আমেজ।

শনিবার (৩০ নভেম্বর) বঙ্গোপসাগরের দক্ষিণ-পশ্চিম থেকে ঘণ্টায় ১০ কিলোমিটার বেগে তামিলনাড়ুর উত্তরের দিকে অগ্রসর হয় সাইক্লোনটি। স্থানীয় সময় সাড়ে দশটা থেকে সাড়ে এগারোটার দিকে তামিলনাড়ুর উত্তরাঞ্চল ও পন্ডিচেরি উপকূল অতিক্রম করে ফেনজাল। আজ রোববার (১ ডিসেম্বর) সকাল থেকে সাইক্লোনটি শক্তি হারিয়ে তামিলনাড়ুর পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম দিকে সরে যেতে শুরু করেছে বলে জানায় ভারতের আবহাওয়া দপ্তর।

বৈরি আবহাওয়ার কারণে চেন্নাই এয়ারপোর্টে বাড়ছে বিলম্বিত ফ্লাইটের যাত্রীদের ভিড়। রোববার ভোর ৪টা পর্যন্ত সব ধরনের ফ্লাইট রাখার সিদ্ধান্ত নেয় বিমানবন্দর কর্তৃপক্ষ। এছাড়া শনিবার (৩০ নভেম্বর) হায়দ্রাবাদ থেকে চেন্নাই ও তিরুপাতিগামী ২০টি ফ্লাইট বাতিল করা হয়েছে।

ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে তামিল নাড়ুর বেশ কয়েকটি জেলায় বন্ধ আছে স্কুল-কলেজ। উপকূলীয় অঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়া হয়েছে নিরাপদ আশ্রয়ে। এছাড়া পন্ডিচেরির নিম্নাঞ্চলের বাসিন্দাদের সরিয়ে নেয়ার পাশাপাশি এমএমএস অ্যালার্টের মাধ্যমে স্থানীয়দের সতর্কবার্তা পাঠাচ্ছে রাজ্য সরকার।

রাজ্য সরকারের কর্মকর্তাদের একজন বলেন, ‘গতকাল বিকেল ও রাত থেকে নানা জায়গায় অতিমাত্রায় বৃষ্টি হচ্ছে। আমরা প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে শুরু করেছি। পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠী ও অসহায় বাসিন্দাদের নিরাপদে সরিয়ে নেয়া হয়েছে।’

এদিকে, শ্রীলঙ্কার উত্তর ও পূর্ব উপকূল থেকে সাইক্লোন ফেনজাল সরে যেতে শুরু করলেও ক্ষয়ক্ষতি এড়াতে শনিবার থেকে জারি আছে রেড অ্যালার্ট।

অন্যদিকে, ভারি বৃষ্টিপাতের কারণে সৃষ্ট বন্যায় বিপর্যস্ত থাইল্যান্ড ও মালয়েশিয়ার জনজীবন। এখনও পর্যন্ত দুই দেশে প্রাণহানির সংখ্যা অন্তত ১২। বন্যার কবলে পড়ে বসতবাড়ি ছাড়তে বাধ্য হয়েছেন মালয়েশিয়ার দক্ষিণাঞ্চলের অন্তত ১ লাখ ২২ হাজার বাসিন্দা। খোলা আকাশের নিচে বাস করছেন থাইল্যান্ডের অন্তত ১৩ হাজার মানুষ। এখনও ভারী বৃষ্টিপাতের পূর্বাভাস থাকায় এই সংখ্যা আরও বাড়তে পারে বলে ধারণা করছে কর্তৃপক্ষ।

ইএ