২০২৪ সালের প্রথম নয় মাসেই রেকর্ড ১৪ হাজারের বেশি বিদেশি শিক্ষার্থী পড়াশোনা বাদ দিয়ে বেছে নিয়েছেন শরণার্থী হওয়ার পথ। এই সংখ্যা বছর শেষে ১৫ হাজারের কাছাকাছি চলে যেতে পারে।
কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘অনেকেই শর্টকাট পদ্ধতি হিসেবে শরণার্থী হওয়ার আবেদনকে বেছে নিচ্ছে, যেন তারা পার্মানেন্ট রেসিডেন্সি বা সিটিজেনশিপ পায়। আমাদের উচিত হবে তাদের পুশব্যাক করা। কানাডার উদারপন্থা ব্যবহার করে যারা এটা করবে তাদের জন্য কঠোর হতে হবে।’
২০২৩ সালেও এই প্রবণতা ছিল ঊর্ধ্বমুখী। সে বছর ১২ হাজারের মতো শিক্ষার্থী শরণার্থী হওয়ার আবেদন করেন। তবে ২০২২ সালে সে সংখ্যা ছিল পাঁচ হাজারেরও কম। কানাডা সরকার যুদ্ধবিধ্বস্ত এলাকাগুলো থেকে আসা মানুষদের শরণার্থী করে থাকে। সে ধারাবাহিকতায়, ইউক্রেন, ফিলিস্তিন, সিরিয়া, লিবিয়া, আফগানিস্থানের বহু মানুষ কানাডার বিভিন্ন শহরে রয়েছেন।
এ বিষয়ে জাস্টিন ট্রুডো বলেন, ‘কে আসল শরণার্থী, সে অনুযায়ী আমরা তাদের স্থায়ী করবো।’
এ অবস্থায় সার্বিক অভিবাসন নীতিতেই কড়াকড়ি আরোপ করতে যাচ্ছে অটোয়া। এতে বিপাকে পড়বেন হাজারো বাংলাদেশি।
শিক্ষার্থীদের জন্যও কঠিন ব্যবস্থা এনেছে সরকার। ভারতসহ ১৪ দেশের শিক্ষার্থীদের সরাসরি বিশেষ সুবিধা বাতিল হয়েছে ইতোমধ্যে। বাড়ানো হয়েছে সার্বিক পড়াশোনার খরচের পরিমাণ। তবে সপ্তাহে ২০ ঘণ্টা থেকে বাড়িয়ে ২৪ ঘণ্টা করা হয়েছে কাজের সুযোগ।