বিদেশে এখন
0

অক্টোবরে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার দাবি ইসরাইলের

পাল্টাপাল্টি হামলা আতঙ্কে ইরান-ইসরাইল উত্তেজনা যখন তুঙ্গে, তখন ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার দাবি করেছে ইসরাইল। সংবাদমাধ্যম এক্সিওস বলছে, গেলো মাসে ইরানে হামলা করে পার্চিন পরমাণু গবেষণা কেন্দ্রে পরমাণু অস্ত্র ধ্বংস করেছে ইসরাইলের প্রতিরক্ষাবাহিনী। পারচিন মিলিটারি কমপ্লেক্স একটি চরম গোপনীয় পরমাণু অস্ত্রের গবেষণাগার হিসেবে পরিচিত। যদিও এই বিষয়ে মুখ খোলেনি তেহরান।

বেশ গোপনে ইরান পরমাণু অস্ত্র কার্যক্রম পরিচালনা করে, এমন অভিযোগ পশ্চিমারা করে আসছে বহু আগে থেকেই। তেহরানের সামরিক স্থাপনায় ইসরাইলের হামলার পর বেশ নড়েচড়ে বসে খামেনি প্রশাসন। কারণ ইসরাইল বারবারই বলে আসছে, ইরানের পরমাণু স্থাপনায় হামলা করবে আইডিএফ। তাই নভেম্বরের শুরুতে ইরানের সর্বোচ্চ ধর্মীয় নেতা আয়াতুল্লাহ আলী খামেনি বেশ গর্ব করেই বলেন, পরমাণু অস্ত্র তৈরির সক্ষমতা তাদের রয়েছে।

এসব হুমকি ধামকিকে বুড়ো আঙুল দেখিয়ে ইরানের পরমাণু কেন্দ্রে হামলার দাবি করেছে ইসরাইল। বিভিন্ন গণমাধ্যমে প্রকাশিত খবরে তেল আবিব দাবি করেছে, অক্টোবরের শেষদিকে তেহরানের ৩০ কিলোমিটার দক্ষিণ-পূর্বাঞ্চলে পারচিন সামরিক স্থাপনায় হামলা করে ইসরাই্লের প্রতিরক্ষা বাহিনী। ধ্বংস করা হয় সক্রিয় পরমাণু অস্ত্রের গবেষণাগার।

সংবাদমাধ্যম এক্সিওস বলছে, পারচিনের হামলা গত ২৬ অক্টোবর ইসরাইলের বড় অপারেশনের মধ্যে এক ঘণ্টার অপারেশন ছিল। এই হামলায় পরমাণু অস্ত্র পরিচালনার অন্যতম উপকরণ ইউরেনিয়াম বহনকারী সরঞ্জাম ধ্বংস করেছে তারা।

পাশাপাশি এমনভাবে এই স্থাপনা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, যেন পরমাণু অস্ত্রের গবেষণা পুনরায় চালু না করতে পারে তেহরান। কোন পরমাণু বিস্ফোরক এই গবেষণাগার থেকে তৈরি করতে পারবে না ইরান।

এরমধ্যে পারচিন সামরিক কমপ্লেক্সে অবস্থিত ‘তালেঘান দুই’ পরমাণু গবেষণা কেন্দ্র পুরোপুরি ধ্বংস করেছে আইডিএফ। স্যাটেলাইটের পাওয়া তথ্য বলছে, ২০০৩ সাল থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে এই গবেষণা কেন্দ্র বন্ধ ছিল।

যুক্তরাষ্ট্র আর ইসরাইলের দাবি, চলতি বছরের শুরুতেই নতুন করে এই গবেষণা কেন্দ্র সক্রিয় দেখা যায়। ধারণা করা হয়, এখানে পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য গবেষণা হচ্ছে। যদিও এক্ষেত্রে ইরান বেশ গোপনীয়তা রক্ষা করেছিলো। ইরান সরকারের খুব কম কর্মকর্তাই বিষয়টি জানতো।

পরমাণু অস্ত্র তৈরির জন্য পর্যাপ্ত পরিমাণে ইউরেনিয়াম সমৃদ্ধকরণ করায় বরাবরই তেহরানের পরমাণু প্রকল্প নিয়ে ঝুঁকিতে থাকে পশ্চিমারা। বর্তমানে গাল্ফ উপকূলের একমাত্র দেশ ইরান, যাদের পরমাণু পাওয়ার প্ল্যান্ট রয়েছে। বর্তমানে ইরানের কাছে ১৫ টিরও বেশি পরমাণু গবেষণাকেন্দ্র রয়েছে। এরমধ্যে ফোর্দো আর নাতাঞ্জ বেশ আলোচিত।

ইএ