বিদেশে এখন
0

মার্কিন নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত কাতারে বাংলাদেশি আমেরিকানরা

মার্কিন নির্বাচন নিয়ে দ্বিধাবিভক্ত ভোটাররা। এই কাতারে রয়েছেন বাংলাদেশি আমেরিকানরাও। যুদ্ধ বন্ধে ডেমোক্র্যাট কিংবা রিপাবলিকান কারো ওপরই আস্থা নেই তাদের। এজন্য ভোট দেবেন না বলে জানিয়েছেন অনেকেই। আর ট্রাম্পের অভিবাসী ও মুসলিম বিরোধী বক্তব্যে আতঙ্ক ছড়াচ্ছে কমিউনিটিতে।

বিশ্ববাসীর চোখ এখন যুক্তরাষ্ট্রে। কারণ আজকের নির্বাচনের মাধ্যমে নির্ধারিত হবে আগামী চার বছর কে সামলাবেন বিশ্বের সবচেয়ে ক্ষমতাধর দেশটির মসনদ।

অভ্যন্তরীণ নীতিসহ বিশ্ব রাজনীতি, অর্থনীতি, যুদ্ধ ও অভিবাসন ইস্যুর মেরুকরণে ডোনাল্ড ট্রাম্প কিংবা কামালা হ্যারিস কে কি ধরনের প্রভাব বিস্তার করতে পারেন, তা নিয়েই চলছে হিসেবে নিকেশ। আর এসব কারণগুলোই নির্বাচনের ফলাফলে বড় ধরনের প্রভাব ফেলবে, সেই সঙ্গে আমেরিকা তথা ভূ-রাজনীতির ভবিষ্যৎ গতিপথ নির্ধারণ করবে বলে মনে করা হচ্ছে ।

বাংলাদেশি আমেরিকানদের একজন বলেন, ‘যে সরকার আসবে তাতে বাংলাদেশের রাজনীতিতে বড় ধরনের প্রভাব পড়বে।’

ট্রাম্পস ইমিগ্রেশন পলিসি এন্ড প্রোজেক্ট ২০২৫ অনুযায়ী অভিবাসী আমেরিকানদের ভাই-বোন এবং তাদের ছেলে-মেয়েদের আমেরিকায় নিয়ে আসার স্বপ্ন ভঙ্গের শঙ্কা বেশি। ফ্যামিলি ভিসা বন্ধ হলে বিপদে পড়বেন বাংলাদেশিরাও। তাই বিষয়টি নিয়ে উদ্বিগ্ন বাংলাদেশি ভোটাররা। এই দিকটায় অভিভাসী ভোটারদের কাছে পছন্দের প্রার্থী হলেন ডেমোক্র্যাট প্রার্থী কামালা হ্যারিস।

আরেকজন বলেন, ‘ট্রাম্প আসলে ট্রাম্পস ইমিগ্রেশন পলিসি এন্ড প্রোজেক্টের কারণে আমাদের জন্য অভিবাসী আসার স্বপ্ন ভঙ্গের শঙ্কা বেশি থাকবে।’

আমেরিকানদের টেক্স দেয়া অর্থের বড় অংশই খরচ হয়েছে ইসরাইলকে সহায়তায়। আর সেই সহায়তায় কেনা অস্ত্রে গাজা ও লেবাননে গণহত্যা চালাচ্ছে দখলদার বাহিনী। মধ্যপ্রাচ্যের এই উত্তেজনায়ও প্রভাব পড়ছে বিশ্ব অর্থনীতিতে। আর এ কারণেও ভোটের মাঠে বড় ধরনের প্রভাব প্রভাব পড়ার শঙ্কা।

ফিলিস্তিনপন্থীদের পক্ষে আন্দোলন করা শিক্ষার্থীদেরকে ডেমোক্র্যাট প্রশাসনের বহিষ্কারের হুমকিও মাথায় রেখে ভোটাধিকার প্রয়োগ করছেন অনেকে।

ইএ