বিদেশে এখন
0

থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ নারী প্রধানমন্ত্রী হলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা

থাইল্যান্ডের ইতিহাসে সর্বকনিষ্ঠ ও দ্বিতীয় নারী হিসেবে প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন সাবেক প্রধানমন্ত্রী থাকসিন সিনাওয়াত্রার মেয়ে পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ৩৭ বছর বয়সী এই নারী রাজনীতিবিদ সিনাওয়াত্রা পরিবারের চতুর্থ সদস্য হিসেবে বসতে যাচ্ছেন প্রধানমন্ত্রীর আসনে। বিশ্লেষকরা বলছেন, থাইল্যান্ডের ৩১তম প্রধানমন্ত্রীর প্রথম কাজ দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা হলেও সামরিক প্রভাবের কারণে যা অনেকটাই অসম্ভব।

সামরিক বাহিনীর হস্তক্ষেপে পর্যদুস্ত থাইল্যান্ড অবশেষে পেলো নতুন প্রধানমন্ত্রী। পার্লামেন্ট সদস্যদের ভোটে শুক্রবার দেশটির ৩১তম প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হলেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। ফিউ থাই পার্টির দলীয় প্রধান শপথ নেয়ার মাধ্যমে গড়বেন দেশের সর্বকনিষ্ঠ সরকার প্রধান হবার ইতিহাস।

নৈতিকতা লঙ্ঘনের দায়ে বুধবার সাবেক প্রধানমন্ত্রী শ্রেথা থাভিসিনকে অপসারণ করেন থাইল্যান্ডের সাংবিধানিক আদালত। এরপর ক্ষমতাসীন দলের পক্ষ থেকে শ্রেথার স্থলাভিষিক্ত হিসেবে প্রস্তাব করা হয় পেতংতার্ন এর নাম। ৪৯৩ সদস্যের থাই প্রতিনিধি পরিষদে ৩১৯ ভোট গেছে পেতংতার্নের ঝুলিতে। এতেই দেশের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হবার গৌরব অর্জন করতে যাচ্ছেন ৩৭ বছর বয়সী এই রাজনীতিবিদ।

থাইল্যান্ডের প্রতিনিধি পরিষদ স্পিকার ওয়ান মুহাম্মাদ নূর মাথা বলেন, ‘অর্ধেকের বেশি সদস্যের ভোট পেয়েছেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। তাই সংবিধানের ১৫৯ নং ধারা অনুযায়ী পেতংতার্নকে নতুন সরকার প্রধান হিসেবে নিযুক্ত করার প্রস্তাব গৃহীত হলো।’

সিনাওয়াত্রা পরিবারের চতুর্থ সদস্য হিসেবে থাইল্যান্ডের প্রধানমন্ত্রীর দায়িত্ব সামলাবেন পেতংতার্ন। যদিও পরিবারের উত্তরসূরিদের সরকার সামলানোর অভিজ্ঞতা খুব একটা সুখকর নয়। বাবা থাকসিনের সরকারকে ২০০৬ সালে উৎখাত করে সামরিক বাহিনী। বাবার বোন ইংলাক ও বোন জামাই সোমচাইয়ের সরকার টিকতে পারেনি সাংবিধানিক আদালতের বিতর্কিত রায়ের কারণে।

যুক্তরাজ্যে উচ্চ শিক্ষা শেষে পরিবারিক হোটেল ব্যবসা সামলেছেন পেতংতার্ন। ২০২১ সালে ফিউ থাই পার্টিতে যোগ দেয়ার দুই বছরের মাথায় দায়িত্ব পান দলীয় প্রধানের। শপথ গ্রহনের মাধ্যমে থাইল্যান্ডের দ্বিতীয় নারী প্রধানমন্ত্রী হবার রেকর্ড গড়বেন পেতংতার্ন সিনাওয়াত্রা। এর আগে ২০১১ সালে দেশের প্রথম নারী সরকার প্রধান হিসেব শপথ নেন ইংলাক সিনাওয়াত্রা।

বিশ্লেষকরা বলছেন নতুন প্রধানমন্ত্রী হিসেবে পেতংতার্নের প্রথম কাজ দেশের স্থিতিশীলতা ফিরিয়ে আনা। তবে আশঙ্কা করা হচ্ছে, সামরিক প্রভাবের কারণে রক্ষণশীলদের সঙ্গে ফিউ থাই পার্টির জোট রাজনীতি নিজেদের মুঠোয় রাখার সর্বাত্মক চেষ্টা চালিয়ে যাবেন। এতে সাংবিধানিক আদালতের রায়ে সম্প্রতি নিষিদ্ধ হওয়া মুভ ফরোয়ার্ড পার্টি নতুন নাম পিপলস পার্টি হিসেবে কাজ শুরু করতে চাইলেও বিষয়টি তাদের জন্য আরো কঠিন হবে। অন্যদিকে জোট সরকার ভাঙ্গার শঙ্কায় রাষ্ট্র কাঠামো সংস্কারের পথে যেতেও পেতংতার্ন দ্বিধায় থাকবেন বলে মত বিশ্লেষকদের।

tech

এই সম্পর্কিত অন্যান্য খবর