বিদেশে এখন
0

মালয়েশিয়ায় প্রথম বারের মতো ডেঙ্গুর টিকা উদ্ভাবন

ডেঙ্গু প্রতিরোধে প্রথমবারের মতো টিকা চালু করেছে মালয়েশিয়া। মঙ্গলবার (১১ জুন) ডেঙ্গু টেট্রাভ্যালেন্ট ভ্যাকসিন কিডেঙ্গা টিকা চালু করেছে তাকেদা ফার্মাসিউটিক্যাল মালয়েশিয়া। এর মাধ্যমে ডেঙ্গু জ্বরের বিরুদ্ধে মালয়েশিয়ার প্রতিরক্ষা শক্তিশালী হয়েছে বলে বলা হচ্ছে।

ড্রাগ কন্ট্রোল অথরিটি (ডিসিএ) দ্বারা অনুমোদিত ভ্যাকসিনটি চার ধরনের ডেঙ্গু ভাইরাস সেরোটাইপ থেকে রক্ষা করতে সক্ষম। চার বছর বা তার বেশি বয়সীদের তিন মাসের ব্যবধানে দুটি ডোজের প্রয়োজন হবে।

তাকেদা মালয়েশিয়া ও সিঙ্গাপুরের কান্ট্রি মহাব্যবস্থাপক ডা. লিনেট মোয়ে বলেন, 'ডেঙ্গু জ্বরের প্রভাব নিয়ে বাড়াবাড়ি করা যাবে না। এটি ঝুঁকিপূর্ণ জনসংখ্যার উপর ভারী ক্ষতি করেছে, বিশ্বব্যাপী ডেঙ্গু সংকটের একটি উল্লেখযোগ্য বোঝা বহন করে এশিয়া।'

বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (ডব্লিউএইচও) ডেঙ্গুকে বিশ্বব্যাপী স্বাস্থ্যের জন্য শীর্ষ ১০টি হুমকির একটি হিসাবে উল্লেখ করেছে। এই সমস্যাটি মোকাবেলায় সংস্থাটি সম্মিলিত প্রচেষ্টার উপর জোর দিয়েছে বলে জানান তিনি।

ডা. লিনেট বলেন, 'ভ্যাকসিনটি জেনারেল প্র্যাকটিশনার ক্লিনিক ও বেসরকারি হাসপাতালে পাওয়া যাবে।'

তিনি বলেন, 'আমরা মূল্য প্রকাশ করতে পারি না। স্বাস্থ্যসেবা দেওয়া প্রতিষ্ঠানগুলি দাম নির্ধারণ করবে । তবে এটি সাশ্রয়ী ও ন্যায়সঙ্গত মূল্যের হবে।'

তিনি জানান, ক্লিনিকাল ট্রায়ালে দেখা গেছে যে ৮০.২ শতাংশ ডেঙ্গু উপসর্গযুক্তদের ক্ষেত্রে টিকা দেওয়ার ১২ মাস পর্যন্ত প্রতিরোধ করেছে।

ইউরোপীয় ইউনিয়ন, যুক্তরাজ্য, ব্রাজিল, আর্জেন্টিনা, ইন্দোনেশিয়া, থাইল্যান্ড এবং ভিয়েতনাম সহ ৩০ টিরও বেশি দেশে ভ্যাকসিনটি অনুমোদিত হয়েছে বলেও জানান ডা. লিনেট মোয়ে।

দেশটিতে ২০২২ সালের তুলনায় গত বছর ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা বৃদ্ধি পেয়েছে ৮৬.৩ শতাংশ ।

২০২২ সালের তুলনায় গত বছর মালয়েশিয়ায় ডেঙ্গু আক্রান্তের সংখ্যা ৮৬.৩ শতাংশ বৃদ্ধি পেয়েছে। চলতি বছরের প্রথম তিনমাসে ৪১ হাজার ৫৬৫ জন ডেঙ্গুতে সংক্রমিত হয়েছেন এবং প্রাণহানি ঘটেছে ২৮ জনের।

ইএ