প্রতিবছর দেশের অস্বাস্থ্যকর বাতাস নিয়ে আলোচনা উঠলেও মেলে না সমাধান। আর এ সুযোগে বায়ু দূষণের মাত্রা ছাড়াচ্ছে আগের সব রেকর্ডকে। ২০২৪ সালে বায়ুদূষণের তালিকায় শীর্ষে থাকা দেশগুলোর মধ্যে দ্বিতীয় স্থানে উঠে আসে বাংলাদেশ। সুইজারল্যান্ড-ভিত্তিক প্রতিষ্ঠান আইকিউএয়ারের বৈশ্বিক বায়ুমান প্রতিবেদন ২০২৪-এ উঠে এসেছে এ তথ্য।
প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়, বাংলাদেশের প্রতি ঘনমিটার বাতাসে অতিক্ষুদ্র কণা পিএম ২ পয়েন্ট ৫ এর পরিমাণ ৭৮ মাইক্রোগ্রাম। যা বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার বেঁধে দেয়া মানের চেয়ে ১৫ গুণ বেশি। প্রথম অবস্থানে রয়েছে মধ্য আফ্রিকার দেশ চাদ। আর শীর্ষ পাঁচ দেশের মধ্যে তিনটিই দক্ষিণ এশিয়ার। বাকি তিনটি দেশ হলো পাকিস্তান, কঙ্গো প্রজাতন্ত্র ও ভারত।
অন্যদিকে ২০২৪ সালের দূষিত শহরের তালিকায় শীর্ষস্থান দখল করেছে আসামের বিরনিহাট। গেল বছর শহরটির প্রতি ঘনমিটার বাতাসে পিএম ২ পয়েন্ট ৫ এর পরিমাণ ছিল ১২৮ দশমিক ২ মিলিগ্রাম। যা স্বাভাবিকের চেয়ে ২৫ গুণ বেশি। শীর্ষ ২০ দূষিত শহরের মধ্যে ১৩টিই ভারতের। পাকিস্তানের ৬টি। কাজাখস্তান, চাদ ও চীনের রয়েছে ১টি করে শহর। এ তালিকায় ঢাকার অবস্থান ২৬তম।
অতিক্ষুদ্র কণার পরিমাণ বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার গাইডলাইন অনুযায়ী বেধে রাখতে পেরেছে অস্ট্রেলিয়া, নিউজিল্যান্ড ও এস্তোনিয়াসহ ৭টি দেশ। অন্যদিকে অনুসরণকারী শহরের হার ছিল ১৭ শতাংশ।
অতিক্ষুদ্র কণা পিএম ২ পয়েন্ট ৫ রক্তের সঙ্গে মিশে মানবদেহের বিভিন্ন অঙ্গ প্রত্যঙ্গ ধ্বংস করে। উচ্চ রক্তচাপের অন্যতম কারণ দূষিত বায়ু। বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) পরিসংখ্যান অনুযায়ী বায়ু দূষণের কারণে প্রতিবছর প্রাণ হারান প্রায় ৭০ লাখ মানুষ।