ঢাকা হোক কিংবা কলকাতা, সীমান্তের দুই পাড়েই নগরবাসীর ভোগান্তির কারণ জলাবদ্ধতা। ঘূর্ণিঝড় রিমালের প্রভাবে সোমবার পশ্চিমবঙ্গের রাজধানীতে বৃষ্টি হয়েছে প্রায় ১৯০ মিলিমিটার। সবচেয়ে বেশি আড়াইশো মিলিমিটারের বেশি বৃষ্টি রেকর্ড করা হয়েছে বালিগঞ্জে। জোয়ারের কারণে ড্রেনেজ গেটগুলো বন্ধ রাখায় পানিতে টইটুম্বুর কলকাতার প্রধান সড়কগুলো।
মৌসুমের প্রথম ঘূর্ণিঝড়ে ব্যাপক ক্ষয়ক্ষতির পাশাপাশি প্রাণহানি হয়েছে পশ্চিমবঙ্গের উপকূলীয় অঞ্চলগুলোয়। গাছপালা ও বাড়িঘরের পাশাপাশি ভেঙ্গে পড়েছে প্রায় আড়াই হাজার বিদ্যুতের খুঁটি। তাই রাজ্যের অনেক এলাকায় এখনো স্বাভাবিক হয়নি বিদ্যুৎ পরিস্থিতি। অন্যদিকে জোয়ারের পানি না নামায় সুপেয় পানির অভাবে হাজারো বাসিন্দা।
বাসিন্দাদের একজন বলেন, 'আমাদের এখানে ঝড়ে গাছপালা ভেঙ্গে গিয়েছে। বিদ্যুৎ নেই, খাবারের সমস্যা হচ্ছে অনেক।'
পশ্চিমবঙ্গের বিদ্যুৎ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী অরুপ বিশ্বাস বলেন, 'ঘূর্ণিঝড়ের কারণে অনেক ক্ষতি হয়েছে। আমাদের ৬২টি সাবস্টেশন ক্ষতিগ্রস্ত হয়। ৪৯টি পুনরায় সচল করা হয়েছে। বিদ্যুতের খুঁটি ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ২ হাজার ৩৫০টি।'
শুধু বাংলাদেশ ও পশ্চিমবঙ্গেই নয়, রিমাল ক্ষতচিহ্ন রেখে গেছে মিজোরামেও। ভারি বৃষ্টিতে ধসে গেছে রাজ্যের একটি পাথরের খনি। সময় গড়ানোর সঙ্গে বাড়ছে নিহতের সংখ্যা। নিম্নচাপের প্রভাবে বৈরি আবহাওয়ায় ব্যাহত হচ্ছে উদ্ধারকাজ। অন্যদিকে দক্ষিণের রাজ্য তেলেঙ্গানাতে ঝড়ো হাওয়ায় গাছ উপড়ে ও বিদ্যুতায়িত হয়ে প্রাণহানির খবর মিলেছে।
ভারতের আবহাওয়া দপ্তর জানিয়েছে, রিমালের প্রভাবে আগামী কয়েকদিন ১৩০ কিলোমিটার বেগে ঝড়ো হাওয়ার পাশাপাশি বৃষ্টির দেখা পেতে পারেন বিহারের জনগণ। কমলা সতর্কতা জারি করা হয়েছে রাজ্যের ৪টি জেলায়। কয়েকদিন আগেই বর্ষা মৌসুমের দেখা পেতে পারে দক্ষিণের রাজ্য কেরালা। সিকিম, আসাম, ও মেঘালয়ের পাশাপাশি ভারি বৃষ্টি হতে পারে অরুণাচলেও।