বিদেশে এখন
0

বিক্ষোভে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়

গাজায় ইসরাইলি সেনা অভিযানের বিরোধিতা করে বিক্ষোভ অব্যাহত রেখেছেন যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। সপ্তাহজুড়ে বিক্ষোভে শত শত শিক্ষার্থীকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ইসরাইলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে সব ধরনের সম্পর্ক ছিন্ন করার পাশাপাশি তেলআবিবের সঙ্গে সম্পর্কিত সব তহবিল থেকে বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে সরে আসার আহ্বান জানিয়েছেন তারা।

ফ্রি প্যালেস্টাইন স্লোগানে উত্তাল যুক্তরাষ্ট্রের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরা। ইসরাইলের জন্য যুক্তরাষ্ট্রের সমর্থনের বিরোধিতার পাশাপাশি ফিলিস্তিনে হামাস নির্মূলের নামে চলা গণহত্যা বন্ধের দাবিতে বিভিন্ন অঙ্গরাজ্যের রাজপথে বিক্ষোভে নেমেছেন শত শত শিক্ষার্থী। ওয়াশিংটন ডিসিতে শিক্ষার্থীদের সঙ্গে আছেন অধ্যাপক ও স্বেচ্ছাসেবীরা।

শিক্ষার্থীদের একজন বলেন, 'ইসরাইল ৬ মাস ধরে গাজায় গণহত্যা চালাচ্ছে। ৭৫ বছর ধরে ফিলিস্তিনে অবৈধ বসতি ইসরাইলের। ইসরাইলি গণহত্যা থেকে কাউকে মুনাফা নিতে দিবো না। আমাদের টাকা কোথায় যায়, বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষকে বলতে হবে।'

প্রথমে নিউইয়র্কের কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ে বিক্ষোভ শুরু হলেও এখন তা ছড়িয়ে পড়েছে পুরো যুক্তরাষ্ট্রে। লস অ্যাঞ্জেলেস, ক্যালিফোর্নিয়া, আটলান্টা আর জর্জিয়া অঙ্গরাজ্য থেকে গ্রেফতার করা হয়েছে শিক্ষার্থীদের। ইসরাইলকে যুক্তরাষ্ট্রের সামরিক সহায়তা দেয়া নিয়ে বহু আগে থেকেই ক্ষোভে ফুঁসছিল সাধারণ মানুষ। সবশেষ প্রেসিডেন্ট জো বাইডেনের তেলআবিবকে ২৬ বিলিয়ন ডলারের সামরিক সহায়তা বিল পাশের পর বিক্ষোভ আরও উত্তাল হয়েছে।

আরেকজন বলেন, 'ফিলিস্তিনি আর ইহুদিদের অনেক বছরের ট্রমা। ফিলিস্তিনে কি হচ্ছে, এটা সহ্য করা কঠিন। আপনারা মাঠে নামুন। ভ্রাতৃত্ব দেখান। বন্দিদের দ্রুত মুক্তি দেয়ার ব্যবস্থা করতে হবে।'

এই বিক্ষোভে যুক্ত হয়েছেন বিভিন্ন সম্প্রদায়ের শিক্ষার্থী, আছেন ফিলিস্তিনি, আরব, ইহুদি আর মুসলিম শিক্ষার্থী। কোনভাবেই পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনতে না পেরে কলোম্বিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের দমাতে পুলিশকে নির্দেশ দেন বিশ্ববিদ্যালয় কর্তৃপক্ষ। পরে জানানো হয়, বিক্ষোভকারীদের সঙ্গে আলোচনা চলছে। সাউদার্ন ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গ্রেফতার করা হয় শতাধিক শিক্ষার্থী। বিক্ষোভে উত্তাল ইউনিভার্সিটি অব টেক্সাস, হাভার্ড বিশ্ববিদ্যালয়সহ বেশ কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয়।

ইএ