হামাসকে নিশ্চিহ্ন করার অজুহাতে সাধারণ ফিলিস্তিনিদের জীবন দুর্বিষহ করে তুলেছে ইসরাইল। খাদ্য ও ওষুধের অভাবে মানবিক সংকটের মাত্রা চরম আকার ধারণ করেছে। খাবারে অভাবে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়ছে মানুষ।
গাজার উত্তরে ডব্লিউএফপির ত্রাণবাহী ট্রাক ঢুকতে দিচ্ছে না ইসরাইল। দুর্ভিক্ষ এড়াতে জরুরি ভিত্তিতে ত্রাণ নিয়ে যাওয়া দরকার বলে জানিয়েছে সংস্থাটি। শুধু বিমান থেকে ত্রাণ ফেলে গাজাবাসীর মানবিক সংকট মোকাবিলা করা অসম্ভব বলেও দাবি করা হচ্ছে।
এদিকে, চলতি বছরের রমজানে জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদে নামাজ পড়তে দেয়া হবে কিনা তা নিয়ে শঙ্কা ছিলো। দেশটির জাতীয় নিরাপত্তাবিষয়ক মন্ত্রী বেন গাভিরও বলেছিলেন, যুদ্ধের মধ্যে আল-আকসা মসজিদে মানুষ প্রবেশ করলে এটি ইসরাইলের জন্য ঝুঁকির কারণ হতে পারে। পরে যুক্তরাষ্ট্রের আহ্বানে নামাজ আদায়ের অনুমতি দেয়া হয়।
তবে প্রধানমন্ত্রী বেনিয়ামিন নেতানিয়াহুর কার্যালয়ের বিবৃতিতে বলা হয়, প্রতি সপ্তাহে নিরাপত্তা পরিস্থিতি পর্যালোচনা করা হবে এবং সে অনুযায়ী পরবর্তী আবারও সিদ্ধান্ত নেয়া হবে।
রমজানের আগেই যাতে যুদ্ধবিরতিতে পৌঁছানো সম্ভব হয়, সেই লক্ষ্যে মিসরের রাজধানী কায়রোয় দফায় দফায় বৈঠকে বসছেন কাতার, মিসর ও যুক্তরাষ্ট্রসহ বিভিন্ন দেশের প্রতিনিধিরা। তবে হামাসের সঙ্গে মতপার্থক্যের অভিযোগ তুলে মঙ্গলবারের (৫ মার্চ) বৈঠকে অংশ নেয়নি ইসরাইল।