২০২৩ সালের ৮ অক্টোবর গাজায় ভয়াবহ হামলা শুরু করে ইসরাইল। দুই বছরে ইসরাইলি আগ্রাসনে পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে গাজা উপত্যকা। ঘরবাড়ি হারিয়ে, ক্ষুধার্ত অবস্থায় বেঁচে থাকার লড়াই করছে ফিলিস্তিনিরা। গোটা উপত্যকায় ছড়িয়েছে নানা রোগবালাই।
গেলো দুই বছরে গাজায় দুই লাখ টনের বেশি বিস্ফোরক ফেলেছে ইসরাইলিরা, আর বোমা হামলা চালিয়েছে ১৩৬ বার। গাজার স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের তথ্য মতে, দুই বছরে প্রাণ হারিয়েছে ৬৭ হাজারের বেশি ফিলিস্তিনি, যাদের প্রায় ৮০ শতাংশই বেসামরিক নাগরিক। আর নিহত শিশুর সংখ্যা ২০ হাজার।
এছাড়া অনাহার ও অপুষ্টিতে মারা গেছে ১৫০ শিশুসহ সাড়ে ৪০০ ফিলিস্তিনি। যদিও হতাহতের প্রকৃত সংখ্যা আরও বেশি বলে দাবি বিভিন্ন আন্তর্জাতিক সংস্থার।
আরও পড়ুন:
গাজার ৯০ শতাংশ বাড়িঘর ও স্থাপনা এরই মধ্যে ধ্বংস বা ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ইসরাইলি আগ্রাসনে। ৮৩৫টি মসজিদসহ ধ্বংস করা হয়েছে বহু হাসপাতাল ও স্বাস্থ্যসেবা কেন্দ্র।
অভ্যন্তরীণভাবে বাস্তুচ্যুত হয়েছে ২১ লাখ জনগোষ্ঠীর ১৯ লাখ ফিলিস্তিনি। মাথা গোঁজার ঠাঁই নেই ফিলিস্তিনিদের। গাজার ৮০ শতাংশ ভূ-খণ্ড জোরপূর্বক দখল করে রেখেছে ইসরাইলিরা।
যুদ্ধে আহত ফিলিস্তিনিদের সংখ্যা প্রায় ১ লাখ ৭০ হাজার। হাসপাতালগুলোর নেই চিকিৎসা দেয়ার সক্ষমতা। বিদেশে চিকিৎসার অনুমোদন পাওয়া ২২ হাজার রোগী এখনো আটকে আছে গাজার ভেতরেই। এদিকে সাড়ে ৬ লাখের বেশি শিশু ভুগছে মারাত্মক খাদ্যসংকটে, নেই প্রয়োজনীয় ওষুধ।
১৫টি খাত মিলিয়ে গাজা উপত্যকায় যুদ্ধে আর্থিক ক্ষতির পরিমাণ দাঁড়িয়েছে ৭ হাজার কোটি মার্কিন ডলারে। চাষযোগ্য জমি ও মৎস্য খাত প্রায় পুরোপুরি ধ্বংস হয়ে গেছে। যুদ্ধ বন্ধ হলেও দীর্ঘ মেয়াদে খাদ্য নিরাপত্তা নিয়ে মারাত্মক হুমকির মুখে পড়বে ফিলিস্তিনিরা।





