গত মাসেই ইসরাইল ও ফিলিস্তিনি সশস্ত্র সংগঠন হামাস ট্রাম্পের ২০ দফা পরিকল্পনার প্রথম ধাপ—দুই বছরের যুদ্ধবিরতি ও বন্দি বিনিময় মেনে নিতে সম্মত হয়েছে। তবে এখন গাজার অন্তর্বর্তী প্রশাসনকে বৈধতা দেয়া এবং সেনা পাঠাতে আগ্রহী দেশগুলোকে আনুষ্ঠানিক আশ্বাস দেয়ার ক্ষেত্রে জাতিসংঘের এ প্রস্তাবকে গুরুত্বপূর্ণ হিসেবে দেখা হচ্ছে।
প্রস্তাবে বলা হয়েছে, সদস্য দেশগুলো ট্রাম্পের নেতৃত্বে গঠিত ‘বোর্ড অব পিস’-এ অংশ নিতে পারবে, যা অন্তর্বর্তী প্রশাসন হিসেবে গাজার পুনর্গঠন, অর্থনৈতিক পুনরুদ্ধার এবং ভবিষ্যৎ শাসন কাঠামোর প্রাথমিক রূপরেখা তদারকি করবে।
এছাড়া গাজায় নিরস্ত্রীকরণ নিশ্চিত করতে একটি আন্তর্জাতিক স্থিতিশীলতা বাহিনী মোতায়েনের অনুমোদন দেয়া হয়েছে। এ বাহিনী অস্ত্র জমা নেয়া থেকে শুরু করে সামরিক অবকাঠামো ধ্বংস করা পর্যন্ত সবকিছুই তদারকি করবে।
তবে হামাস এ প্রস্তাবের কঠোর বিরোধিতা করেছে। সংগঠনটি এক বিবৃতিতে জানায়, গাজায় আন্তর্জাতিক অভিভাবকত্ব চাপিয়ে দেয়ার চেষ্টা হিসেবে তারা এই প্রস্তাবকে দেখে এবং তারা নিরস্ত্রীকরণে রাজি নয়। হামাসের দাবি, ইসরাইলের বিরুদ্ধে তাদের লড়াই ‘বৈধ প্রতিরোধ’—এ কারণে প্রস্তাবের অধীনে গঠিত আন্তর্জাতিক বাহিনীর সঙ্গে সংঘাতের আশঙ্কা তৈরি হয়েছে।
প্রস্তাব গৃহীত হওয়ার পর যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত মাইক ওয়াল্টজ বলেন, এটি ফিলিস্তিনিদের আত্মনিয়ন্ত্রণের পথে ‘নতুন সম্ভাবনা তৈরি করবে’। রকেটের বদলে শান্তির প্রতীক তুলে ধরতে সহায়তা করবে এবং রাজনৈতিক সমাধানের পথ খুলে দেবে। ভোটের আগে তিনি পরিষদকে বলেন, এই প্রস্তাব হামাসের নিয়ন্ত্রণ দুর্বল করবে এবং গাজাকে ‘সন্ত্রাসের ছায়া থেকে বের করে নিরাপদ, সমৃদ্ধ ভবিষ্যতের দিকে নিয়ে যাবে।’
ভোটের আগে রাশিয়া আপত্তির ইঙ্গিত দিলেও শেষ পর্যন্ত বিরত থাকে। ফলে প্রস্তাবটি সহজেই পাশ হয়। রাশিয়া ও চীন অভিযোগ করেছে, গাজার ভবিষ্যৎ নির্ধারণে জাতিসংঘের ভূমিকা স্পষ্টভাবে উল্লেখ করা হয়নি, যা তাদের উদ্বেগের জায়গা হয়ে দাঁড়িয়েছে।





