উড়োজাহাজের কর্মী হিসেবে কানাডায় অবতরণের পর নিখোঁজ হচ্ছেন পিআইএ'র কর্মীরা। গেল দুই মাসে তিন কর্মী নিখোঁজের পর খুলেছে রহস্য জট। নিখোঁজ নয় বরং পাকিস্তানের রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিমান সংস্থার কর্মীরা পালিয়ে যাচ্ছেন।
গেল ২৬ ফেব্রুয়ারি ইসলামাবাদ থেকে কানাডার টরেন্টোর উদ্দেশে যাত্রা করা পিআইএ'র উড়োজাহাজে ছিলেন বিমানবালা মারিয়াম রাজা। পরদিন সেই ফ্লাইটটিতেই দেশে ফেরার কথা থাকলেও মারিয়াম না ফেরায় হোটেলে খোঁজ শুরু করে এয়ারলাইন্স কর্তৃপক্ষ। কক্ষ থেকে ইউনিফর্ম ও পিআইএ-কে ধন্যবাদসূচক চিরকুট উদ্ধারের পর জানা যায় এই বিমানবালা কানাডায় পালিয়েছেন।
২০১৯ সালে পিআইএ'র এক কর্মী কানাডায় পালানোর পর আশ্রয় আবেদন করেন দেশটির সরকারের কাছে। কানাডার আইন বলছে, নিরাপত্তার শঙ্কায় থাকা যেকোন ব্যক্তি আশ্রয়ের জন্য আবেদন করতে পারেন। উন্নত জীবনের আশায় গেল ২৬ মাসে দেশটিতে এভাবে পাড়ি জমিয়েছেন পিআইএ’র ১৪ কর্মী। এমন ঘটনা ঠেকাতে কর্মীদের পাসপোর্ট জমা দেয়ার নির্দেশনা জারি করলেও এই পদক্ষেপ কাজে আসেনি।
রাজনৈতিক সংকটে জর্জরিত পাকিস্তানে টালমাটাল অর্থনৈতিক অবস্থা। গেল মাসে দেশটির মূল্যস্ফীতি ছিলো ২৩ শতাংশের ওপর। বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ মাত্র ১ হাজার ৩শ' কোটি ডলার, যা দিয়ে মাত্র ২ মাসের আমদানি ব্যয় মেটানো সম্ভব।
লোকসান গুণতে গুণতে পিআইএ’র ঋণ ২৮০ কোটি ডলারে পৌঁছেছে। কর্মীদের বেতন-ভাতা দিতে হিমশিম খাচ্ছে প্রতিষ্ঠানটি। রাষ্ট্রায়ত্ত্ব বিমান সংস্থাকে বাঁচাতে অন্তর্বর্তীকালীন সরকার পিআইএকে বেসরকারিকরণে সম্মতি দিলেও উদ্যোগটি এখনও আলোর মুখ দেখেনি। বিশ্লেষকদের ধারণা, কর্মজীবনে এমন অনিশ্চয়তার কারণে বিদেশে পালাচ্ছেন এয়ারলাইন্সের কর্মীরা।