বিদেশে এখন
হাইতির কারাগারে হামলা, বন্দি ছিনিয়ে নেয়ার অভিযোগ
গত কয়েক বছর ধরেই সহিংসতায় উত্তপ্ত আমেরিকার দরিদ্র দেশ হাইতি। সম্প্রতি প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরিকে ক্ষমতাচ্যুত করতে আরও শক্তিশালী হয়ে উঠছে সশস্ত্র দলগুলো।

পুলিশের সঙ্গে গোলাগুলিতেও জড়িয়ে পড়ছে তারা। এতে অনেক পুলিশ সদস্য হতাহতের শিকার হচ্ছেন। বলতে গেলে দেশটির আইনশৃংঙ্খলা ব্যবস্থা পুরোপুরি ভেঙে পড়েছে। আর এভাবেই রাজধানী পোর্ট-অব-প্রিন্সের প্রায় ৮০ শতাংশ এলাকার নিয়ন্ত্রণ করছে জিমি চেরিজিয়ার গ্যাং।

এরইমধ্যে হাইতির প্রধান কারাগারে হামলা চালিয়ে অন্তত ৪ হাজার বন্দিকে মুক্ত করে দিতে সাহায্য করার অভিযোগ উঠেছে। অবশ্য কারাগারটির নিরাপত্তা ব্যবস্থা আরও শক্তিশালী করতে সামরিক বাহিনীকে সাহায্য করার আহ্বান জানিয়েছিলো হাইতির পুলিশ। কিন্তু এর আগেই রোববার চালানো হয় সহিংসতা। এরপর পালানোর চেষ্টা করা তিন বন্দি কারাগারের আঙিনায় মৃত অবস্থায় পড়েছিল বলে জানা গেছে।

এই কারাগারটিতে ২০২১ সালে তৎকালীন প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের সাথে জড়িত ৯৯ জন গ্যাং সদস্য আটক ছিলেন। যারা ক্রসফায়ারে নিহত হওয়ার ভয়ে কারাগারে থাকাকেই নিরাপদ মনে করছিলেন।

মূলত সাবেক প্রেসিডেন্ট জোভেনেল মোয়েসের হত্যাকাণ্ডের পর থেকে হাইতিতে সহিংসতা ছড়িয়ে পড়ে। তার স্থলাভিষিক্ত হয়নি কেউ। এমনকি ২০১৬ সাল থেকে ক্যারিবীয় অঞ্চলের এই দেশটিতে কোনো নির্বাচন হয়নি। যদিও একটি রাজনৈতিক চুক্তির আওতায় হাইতিতে নির্বাচন অনুষ্ঠিত হওয়ার কথা ছিল। আর ৭ ফেব্রুয়ারির মধ্যে পদত্যাগ করার কথা ছিল অনির্বাচিত প্রধানমন্ত্রী এরিয়েল হেনরির। কিন্তু এখনও ক্ষমতা ছাড়ছেন না তিনি।

জাতিসংঘের তথ্য বলছে, ২০২৩ সালে হত্যা, আহত ও অপহরণসহ হাইতিতে গ্যাং সহিংসতার শিকার হয়েছেন ৮ হাজার ৪০০ জনের বেশি মানুষ। যা ২০২২ সালে সহিংসতার শিকার হওয়া মানুষের সংখ্যার দ্বিগুণের চেয়ে বেশি।

এওয়াইএইচ