বিমান থেকে একের পর এক প্যারাসুট দিয়ে ত্রাণ সহায়তা ফেলছে জর্ডান। যা দেখে মনে হতে পারে কোনো যুদ্ধক্ষেত্র কিংবা সামরিক মহড়া। কিন্তু বাস্তবে চিত্রটি মানবিকতার সাক্ষ্য দিচ্ছে। গাজাবাসীর খাদ্য ও চিকিৎসা সংকট মোকাবিলায় টানা দ্বিতীয় দিনের মতো এভাবেই ত্রাণ সহায়তা দিয়ে যাচ্ছে জর্ডান।
মানবিক বিপর্যয় সত্ত্বেও সীমান্ত দিয়ে ত্রাণবাহী যান আসতে ইসরাইলি বাধার মুখে পড়ায় বিমান দিয়ে গাজায় ফেলা হচ্ছে খাদ্য ও চিকিৎসা সামগ্রী। যা পেতে হুমড়ি খেয়ে পড়ছে নিরীহ ফিলিস্তিনিরা। চাহিদার তুলনায় বিমানে সরবরাহ করা এই সাহায্য সামগ্রীও যথেষ্ট নয়।
এ অবস্থায় ২০ লাখের বেশি বাস্তুচ্যুত মানুষের দুর্দিনে পাশে দাঁড়াতে, যে করেই হোক আন্তর্জাতিক দাতা সংস্থাগুলোকে মানবিক সহায়তা বাড়িয়ে দ্বিগুণ করার আহ্বান জানিয়েছেন জর্ডানের বাদশাহ দ্বিতীয় আবদুল্লাহ। দুর্দিনে আরব দেশগুলোকে পাশে চায় গাজাবাসী।
গাজার বাসিন্দারা বলেন, ‘আমরা সবাই কম-বেশি ক্ষুধার্ত। কোন আশ্রয় নেই, পানীয় নেই, খাবার নেই।’
আরেকজন বলেন, ‘আমাদের দুর্ভোগ দেখার জন্য আরব দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানাই। কারণ খাবার-পানীয় ছাড়া আমাদের দিন কাটছে। ইতোমধ্যে আমাদের জীবন নরকে পরিণত হয়ে গেছে।’
এ অবস্থায় জাতিসংঘের দাবি, গাজার মোট জনসংখ্যার এক-চতুর্থাংশ অর্থাৎ প্রায় ৬ লাখ মানুষ দুর্ভিক্ষের দারপ্রান্তে। প্রতি ছয়জন শিশুর মধ্যে অপুষ্টির শিকার একজন। এভাবে চলতে থাকলে গাজায় দুর্ভিক্ষ ঠেকানোর কোনো উপায় থাকবে না বলেও শঙ্কা করা হচ্ছে। যদি তাই হয়, না খেতে পেয়ে প্রতিদিন মারা যাবে হাজার হাজার মানুষ।





