অভিবাসীদের স্বর্গরাজ্য হিসেবে খ্যাত ইউরোপের দেশ পর্তুগাল। দীর্ঘ ৮ বছর ধরে দেশটির ক্ষমতায় পর্তুগিজ স্যোসালিস্ট পার্টি। অভিবাসন ইস্যুতে বেশ নমনীয় তারা। ট্যুরিস্ট ভিসাসহ অবৈধ অভিবাসীদের নাগরিকত্ব দেয়াসহ সহজ অভিবাসন নীতির কারণে খ্যাতি রয়েছে দলটির।
গেল কয়েক বছর ধরে অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি, আর্থিক স্থিতিশীলতা ও সরকারি ঋণের উল্লেখযোগ্য হার কমাতেও গুরুত্বপূর্ণ অবদান রেখেছে এন্তোনিও কস্তার নেতৃত্বাধীন সরকার।
দেশটির বর্তমান ক্ষমতাসীন স্যোশালিস্ট পার্টি অভিবাসী বান্ধব হওয়ায় বাংলাদেশসহ বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অভিবাসীরা পর্তুগালে আসার সুযোগ পাচ্ছেন। তবে স্যোশালিষ্ট পার্টি যদি আগামী নির্বাচনে ক্ষমতা হারায় সেক্ষেত্রে শঙ্কার মুখে পড়বে পর্তুগালের অভিবাসন। কঠোর হতে পারে দেশটির অভিবাসন নীতি।
বাংলাদেশি প্রবাসী রাজীব আল মামুন বলেন, ‘অভিবাসীদের আশঙ্কা, আগামী নির্বাচনে কে জিতবে? যদি কোন কারণে ডানপন্থী দল ক্ষমতায় আসে তাহলে অভিবাসন নীতিই বা কেমন হবে?’
এদিকে অভিবাসন বিরোধী কট্টর ডানপন্থী শেগা পার্টির শক্তিশালী উত্থান হতে পারে এবারের নির্বাচনে। বিভিন্ন জরিপ বলছে, এবার সংখ্যাগরিষ্ঠতা পেতে পারে এই পার্টি। এমন পরিস্থিতিতে শঙ্কায় নতুন রেসিডেন্স প্রত্যাশী অভিবাসীরা।
বাংলাদেশ কমিউনিটি অব পোর্তোর সভাপতি শাহ আলম কাজল বলেন, ‘আমরা দীর্ঘদিন যারা পর্তুগালে আছি তারা সবাই শঙ্কিত যে, আগামী নির্বাচনে কোন দল ক্ষমতায় আসবে। আর অভিবাসন নীতির বিষয়ে কী সিদ্ধান্ত হবে?’
লুইস মন্তেনেগরোর নেতৃত্বে সংসদে বিরোধী পিএসডি এবার নতুন জোটের ঘোষণা দিয়েছে পিপলস পার্টি সিডিএস-পিপি’র সাথে। নির্বাচন সামনে রেখে শেগার সাথেও হতে পারে নতুন জোট। সেক্ষেত্রে নিশ্চিত পরাজয়ের মুখে পড়বে ক্ষমতাসীন স্যোসালিস্টরা এমন মত বিশ্লেষকদের।
দুর্নীতির অভিযোগে তদন্তের জেরে গেল বছর নভেম্বরে পদত্যাগের ঘোষণা দেন পর্তুগালের বর্তমান প্রধানমন্ত্রী এন্তোনিও কস্তা। তার পদত্যাগে নতুন করে নির্বাচন গ্রহণের নির্দেশ দেন দেশটির রাষ্ট্রপতি।